রোকনুজ্জামান রোকন:
চাঁদপুরের মতলব দণি উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনের সেফটি ট্যাংকি থেকে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক লিটন পাঠান (৪৫) ও রাসেল প্রধান (২৮) সেফটি ট্যাকিংর সেন্টারিং খুলতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাগণ।
প্রত্যদর্শীরা জানান, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের দেিণ বারীগাঁও এলাকায় আবুল বাশার মোল্লার নির্মাণাধীন পাঁচ তলা ভবনের কাজ চলছিল। নিহত লিটন পাঠান ওই কাজ পরিচালনা করতেন। নিহত লিটন পাঠান উপজেলার পুটিয়া গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ পাঠানের ছেলে ও নিহত রাসেল প্রধান হুরমহিষা গ্রামের আলী আর্শাদ প্রধানের ছেলে।
নিহতের আত্মীয় স্বজন জানান, তারা সকাল ৮টার দিকে বাড়ী থেকে বেরিয়ে কাজ করতে যায়। পরে বাড়ীর মালিক তাদেরকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মুঠোফোনে আমাদেরকে খবর দেয়।
বাড়ীর মালিক আবুল বাশার মোল্লার স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো আমি তাদের কাজ দেখতে যাই। ওদের না দেখে মুঠো ফোনে ফোন দিলে ট্যাংকির পাশে মোবাইল ফোনটি বাজছিল। পরে টাংকির ভিতরে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেই। ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানাই।
এলাকাবাসী জানান, গত ৩/৪ বছর পূর্বে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ীর কাজ ধরেন কচুয়া উপজেলার আবুল বাসার দিঘদাইর গ্রামের আবুল বাসার। গত ১ মাস আগে ট্যাংকির কাজ শেষ হয়েছিল। শুক্রবার মালিককে মুঠোফোনে জানিয়ে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে।
মতলবের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত ঘটানস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, ফায়ার ষ্ট্রেশন ইনচার্জ আশাদুজ্জামান, নারায়ণপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি স্বপন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নিহত ওই দুই নির্মাণ শ্রমিক এ ভবনের কাজ করে আসছিলেন। সকালে সেফটি ট্যাংকি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।