বাল্য বিয়ের খবর শুনে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ‍উপস্থিত ইউএনও

  • আপডেট: ০৯:২৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • ৫১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার পাতলা বাড়ির আমির হোসেনের মেয়ে আফরোজা আক্তার মিশুর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

জানা গেছে, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের খবর শুনে এদিন রাতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে আফরোজা আক্তার মিশুর হাতে একটি বই তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে তার বাবা ও মায়ের মৌখিক অঙ্গিকারনামা নেন।

এ ছাড়াও প্রকাশ্যে বা গোপনে এই বিয়ে যেন না হয়, সেজন্য ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারীকে বিষয়টি দেখা-শুনার দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কনে একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে বাড়িতে যাই। পরে কনে ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে এই বিয়ে বন্ধ করি। তিনি বলেন, অগোচরে এ বিয়ে হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

রমজানের পবিত্রতা ও দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখার দাবিতে হাজীগঞ্জে জামায়াতের ইসলামীর মিছিল ও সমাবেশ

বাল্য বিয়ের খবর শুনে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ‍উপস্থিত ইউএনও

আপডেট: ০৯:২৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার পাতলা বাড়ির আমির হোসেনের মেয়ে আফরোজা আক্তার মিশুর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

জানা গেছে, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের খবর শুনে এদিন রাতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে আফরোজা আক্তার মিশুর হাতে একটি বই তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে তার বাবা ও মায়ের মৌখিক অঙ্গিকারনামা নেন।

এ ছাড়াও প্রকাশ্যে বা গোপনে এই বিয়ে যেন না হয়, সেজন্য ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারীকে বিষয়টি দেখা-শুনার দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কনে একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে বাড়িতে যাই। পরে কনে ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে এই বিয়ে বন্ধ করি। তিনি বলেন, অগোচরে এ বিয়ে হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।