চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বেশি দামে জমি অধিগ্রহণের ত্রুটি পেয়েছে। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন মহল এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত যারা তাদের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
ঐ ঘটনার আলোকে চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের নামধারী বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত এবং অনুপ্রবেশকারী বিতর্কিত কিছু নেতাকর্মী প্রতিবাদ সভার নামে দলীয় ব্যানারে চাঁদপুর শহরকে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনা রয়েছে নদী তীরবর্তী বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যেকোনো ধরনের স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
যে বা যারা চাঁদপুর শহরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়ে বলেন যেহেতু বেশি দামে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হয়েছে তাই ঐ বিষয়টি নিয়ে আপনারা যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সভা-সমাবেশের নামে দলীয় ভাবমূর্তি ুণ্ন করে যাচ্ছেন তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড যদি বন্ধ না করেন তাহলে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থ এবং ঐক্যের স্বার্থে যে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করবে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
ঐ বিষয় নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পত্রিকায় পরিষ্কারভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। তারপরও কতিপয় নেতৃবৃন্দ হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করে যা সরকার ও দলকে বিব্রত করে। যা জেলা আওয়ামী লীগ মেনে নিবে না। যে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, কারো ব্যক্তিগত অনিয়ম বা দুর্নীতির দায়ভার জেলা আওয়ামী লীগ নিবে না। যেহেতু দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কাছে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে তাই কেন্দ্রিয় হাইকমান্ড এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবেন। তাই কেউ অতি উৎসাহী হয়ে সরকার ও দলকে বিব্রত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না- যা চাঁদপুরবাসী দেশ জাতির কাছে আরো লজ্জিত হয়।
সবার কাছে আহ্বান জানাবো, এই বিষয়টি কেন্দ্রিয় হাই কমান্ডের উপর ছেড়ে দিয়ে চাঁদপুর শহর অস্থিতিশীল হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। আসুন আমরা সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ি, চাঁদপুর জেলাসহ চাঁদপুর শহরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন মডেল শহরে রুপান্তরিত করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য মেঘা প্রকল্পগুলো যাতে ভূমিদস্যু ও দুর্নীতিবাজ কারো ব্যক্তিস্বার্থে বাধাগ্রস্ত না হয়। আসুন, সবাই মিলে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সোচ্চার থাকি।
চাঁদপুর শহর রা বাঁধকে সুরতি রাখতে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ উপায়ে সরকারের রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত করে যেসব ভূমিদস্যু দিনে ও রাতে বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।
আপনাদের উদ্দেশ্যে আরো বলতে চাই, বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ মানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ আপনারা জনসমাগম বৃদ্ধি করে চাঁদপুর শহরকে করোনা মহামারীর বিপজ্জনক পরিবেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন- যা সর্বসাধারণের জন্য তিকর। যা দলকে বিব্রতকর ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। চাঁদপুর শহরের জনসাধারণ সুস্থ ও ভাল রাখতে এসব কর্মকান্ড পরিহার করার আহ্বান জানান চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। করে শুকনো খাবার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ।