করোনাভাইরাস কি প্রকৃতির প্রতিশোধ না শিক্ষা?

  • আপডেট: ০৩:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
  • ৩৩

বেচে থাকা সবচেয়ে বড় অভ্যাস। আর এই বেচে থাকার আয়োজন সমৃদ্ধ করতে আমরা নতুন নতুন অভ্যাস গড়ি। নতুনত্বকে বরণ করতে আমাদের আয়োজনের বাড়াবাড়ি রকমের বেড়ে যায়। আমাদের চাহিদাও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তড়তড়িয়ে গাছে উঠে।

গাছের চূড়া থেকে আকাশ ছোঁয়। আমরা ভুলে যাই, এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য শুধু আমরাই নই; আরও হাজার লাখো প্রাণী আছে। কিন্তু নিজেদের চাহিদা পূরণে আমরা তাদের বসতি এমনকি তাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতেও চিন্তা করি না। আমরা যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছি পৃথিবীতে।

বিগত ১০০ বছর কিংবা স্পষ্ট করে বললে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মানবজাতি পৃথিবীর যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে- তা হয়তো আর কেউ কোনোকালেই করেনি। শিল্প বিপ্লবের পর আমরা লাখো কল-কারখানা তৈরি করেছি। এসব কারখানার বর্জ্য আমাদের পানিকে দূষিত করেছে। কালো ধোঁয়া দূষিত করছে বায়ুমণ্ডলকে। একইসঙ্গে সঙ্গীন হয়েছে, হাজারো লাখো প্রাণীর জীবন। কারো কারো অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে।

আমরা পৃথিবীতে দূষণের এতো উৎসব করেছি যে, ওজন স্তরেও আমাদের অদৃশ্য হাত পৌঁছে গেছে। ফলস্বরূপ পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে। পৃথিবীর চারপাশে থাকা বরফের পাহাড় গলেছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় সাইক্লোন, সুনামি, হ্যারিকেন, সিডর, ফনির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সঙ্গী হয়েছে।

তবু আমরা ভাবিনি পৃথিবীর কথা। ভাবিনি পৃথিবীর অন্যসব প্রাণীর মতো আমরাও একটি প্রাণী মাত্র। ভাবিনি, আমাদের সৃষ্ট ব্যবস্থায় দৃশ্যত মানবজাতি লাভবান হলেও, এর বদলা হিসেবে ঠিক ততটুকুই কেড়ে নিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু লাভ-ক্ষতির এই সহজ অংক আমাদের মাথায় ঢুকেনি মোটেই। আমরা অমানবিক থেকে অমানবিকতর হয়েছি। আমাদের পাগলা ঘোড়া যেন ছুটেই চলেছে।

আমাদের অপ্রত্যাশিত চাহিদাও ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। ‘ব্র্যান্ড’ নামক লাল ষাঁড় আমাদের চিন্তার জগতকে ক্রমশ সংক্ষিপ্ত করে দিচ্ছে। ভোগবাদে আমরা এত বেশি অভ্যস্ত হয়েছি যে, হাঁটতে-বসতে আমাদের ‘ব্র্যান্ড’ লাগে।

ধরা যাক, মোবাইল ফোনের কথাই। বিবর্তনের নির্দিষ্ট সময়কাল থাকলেও মোবাইল প্রযুক্তি উন্নয়নের শেষ মিলছে না। তাইতো প্রতি বছর ফোন হ্যান্ডসেট বদলাতে হয় আমাদের। সব কোম্পানিই তাদের দোকানে বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে ডাকছে। আর এই ‘ব্র্যান্ডে’র ফাঁদে আমরাও মোহিত হচ্ছি বারবার। ফোনের কথা না হয় বাদই দিলাম। এই ফোন তো শুধু ফোন নয়। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক যন্ত্রের ব্যবহারই তো হরেক রকমের।

অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চ ডটকমের ২০১৮ সালের তথ্য মতে, ব্যাটারি, হেডফোন/এয়ারফোন, পোর্টেবল স্পিকার, চার্জার, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি কেস ইত্যাদির বিশ্ববাজার ২২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা ২০২৬ সাল নাগাদ ২৮৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, আমাদের চাহিদা মেটাতে কোম্পানিগুলোর কী নিরন্তর প্রচেষ্টা! পৃথিবীর কথা চিন্তার সময় কোথায় মানুষের?

এতো কথা বলার মূল উদ্দেশ্য, হালের পিঠে চড়ে পৃথিবীতে আসা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কীর্তন করা। শুধু গণনাতেই, এ পর্যন্ত এই ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে দেড় লাখের বেশি প্রাণ। এর প্রতিকারে কোনো কূল-কিনারাই করতে পারছে না অতি বুদ্ধিমান মানবজাতি। আক্রান্ত আর মৃত মানুষের লাশ গণনা করতে করতেই শেষ হচ্ছে একেকটি দিন। অথচ জ্ঞানে-বিজ্ঞানে আমাদের কত অগ্রযাত্রা! তবে কি প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবেই এসেছে এই ভাইরাস?

করোনাভাইরাস সামলাতে সরকার বাহাদুরেরা লকডাউন করেছে পৃথিবীর বেশিরভাগ অঞ্চল। তাই মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ আছে যানবাহন, কল-কারখানা এবং দূষণ। এই মহামারিতে সুখে আছে, মানুষ ছাড়া সবাই।

নাসা বলছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। দূষণের মাত্রা কমেছে; বাতাস শুদ্ধ হচ্ছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতিনিয়তই প্রচার হচ্ছে এই পরিবর্তনের দৃশ্য। শব্দ দূষণ কমেছে। মানুষের অবর্তমানে প্রাণীরা তাদের আবাসস্থলে ফিরে আসছে। সমুদ্র উপকূলে ডলফিন খেলা করছে; কচ্ছপ বাচ্চা ফোটাচ্ছে। প্রকৃতির বুকে যেন আনন্দধারা বইছে। আর এরই সঙ্গে করোনারভাইরাসের জুজু দেখিয়ে পৃথিবীই যেন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে।

একটু হিসাব করলেই বোঝা যায়, কয়েক দশক আগেও পৃথিবীতে ভারসাম্য ছিল। আমরা বেঁচে ছিলাম প্রকৃতির মাঝেই। অথচ এখন প্রকৃতি বাঁচে আমাদের মাঝে। নগরায়নের লোভে আমরা বন-জঙ্গলের গাছ কেটে গড়ে তুলেছি কংক্রিটের জঙ্গল। পাহাড় উজাড় করে গড়ে তুলেছি অট্টালিকা। নষ্ট করেছি লাখো প্রাণীর বাস্তু সংস্থান। সুতরাং এর ফলাফল তো আমাদের বহন করতেই হবে।

করোনা পরিস্থিতিকে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করি; অথবা আর যাই করি, এটি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছ, আমরা কতটা রূঢ়; কতটা স্বার্থপর। হয়তো করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে আমরা আরও মানবিক হবো। আমাদের বোধ ও ভালোবাসার শক্তি হয়তো আরও বাড়বে। স্বার্থপরতা ভুলে আমরা হয়তো ভাববো, অপরাপর প্রাণীকুলের কথা।

পৃথিবীর দূষণ কমাতে আমরা হয়তো জনে একটি করে গাছ লাগাবো। অতিরিক্ত চাহিদা ভুলে আমরা হয়তো হবো মিতব্যয়ী। উন্নয়নের জোয়ারে আমরা হয়তো অন্য প্রাণীর ক্ষতি আর করবো না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী রেখে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন আমাদের নেতারা। নিজেদের খাই খাই স্বভাব বন্ধ করে আমরা হয়তো একটি প্রকৃতিবান্ধব মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলবো। এইটুকুনই প্রত্যাশা।

লেখক: ফখরুদ্দিন মেহেদী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোয় গোটা জাতি আনন্দিত-মির্জা ফখরুল

করোনাভাইরাস কি প্রকৃতির প্রতিশোধ না শিক্ষা?

আপডেট: ০৩:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

বেচে থাকা সবচেয়ে বড় অভ্যাস। আর এই বেচে থাকার আয়োজন সমৃদ্ধ করতে আমরা নতুন নতুন অভ্যাস গড়ি। নতুনত্বকে বরণ করতে আমাদের আয়োজনের বাড়াবাড়ি রকমের বেড়ে যায়। আমাদের চাহিদাও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তড়তড়িয়ে গাছে উঠে।

গাছের চূড়া থেকে আকাশ ছোঁয়। আমরা ভুলে যাই, এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য শুধু আমরাই নই; আরও হাজার লাখো প্রাণী আছে। কিন্তু নিজেদের চাহিদা পূরণে আমরা তাদের বসতি এমনকি তাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতেও চিন্তা করি না। আমরা যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছি পৃথিবীতে।

বিগত ১০০ বছর কিংবা স্পষ্ট করে বললে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মানবজাতি পৃথিবীর যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে- তা হয়তো আর কেউ কোনোকালেই করেনি। শিল্প বিপ্লবের পর আমরা লাখো কল-কারখানা তৈরি করেছি। এসব কারখানার বর্জ্য আমাদের পানিকে দূষিত করেছে। কালো ধোঁয়া দূষিত করছে বায়ুমণ্ডলকে। একইসঙ্গে সঙ্গীন হয়েছে, হাজারো লাখো প্রাণীর জীবন। কারো কারো অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে।

আমরা পৃথিবীতে দূষণের এতো উৎসব করেছি যে, ওজন স্তরেও আমাদের অদৃশ্য হাত পৌঁছে গেছে। ফলস্বরূপ পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে। পৃথিবীর চারপাশে থাকা বরফের পাহাড় গলেছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় সাইক্লোন, সুনামি, হ্যারিকেন, সিডর, ফনির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সঙ্গী হয়েছে।

তবু আমরা ভাবিনি পৃথিবীর কথা। ভাবিনি পৃথিবীর অন্যসব প্রাণীর মতো আমরাও একটি প্রাণী মাত্র। ভাবিনি, আমাদের সৃষ্ট ব্যবস্থায় দৃশ্যত মানবজাতি লাভবান হলেও, এর বদলা হিসেবে ঠিক ততটুকুই কেড়ে নিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু লাভ-ক্ষতির এই সহজ অংক আমাদের মাথায় ঢুকেনি মোটেই। আমরা অমানবিক থেকে অমানবিকতর হয়েছি। আমাদের পাগলা ঘোড়া যেন ছুটেই চলেছে।

আমাদের অপ্রত্যাশিত চাহিদাও ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। ‘ব্র্যান্ড’ নামক লাল ষাঁড় আমাদের চিন্তার জগতকে ক্রমশ সংক্ষিপ্ত করে দিচ্ছে। ভোগবাদে আমরা এত বেশি অভ্যস্ত হয়েছি যে, হাঁটতে-বসতে আমাদের ‘ব্র্যান্ড’ লাগে।

ধরা যাক, মোবাইল ফোনের কথাই। বিবর্তনের নির্দিষ্ট সময়কাল থাকলেও মোবাইল প্রযুক্তি উন্নয়নের শেষ মিলছে না। তাইতো প্রতি বছর ফোন হ্যান্ডসেট বদলাতে হয় আমাদের। সব কোম্পানিই তাদের দোকানে বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে ডাকছে। আর এই ‘ব্র্যান্ডে’র ফাঁদে আমরাও মোহিত হচ্ছি বারবার। ফোনের কথা না হয় বাদই দিলাম। এই ফোন তো শুধু ফোন নয়। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক যন্ত্রের ব্যবহারই তো হরেক রকমের।

অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চ ডটকমের ২০১৮ সালের তথ্য মতে, ব্যাটারি, হেডফোন/এয়ারফোন, পোর্টেবল স্পিকার, চার্জার, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি কেস ইত্যাদির বিশ্ববাজার ২২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা ২০২৬ সাল নাগাদ ২৮৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, আমাদের চাহিদা মেটাতে কোম্পানিগুলোর কী নিরন্তর প্রচেষ্টা! পৃথিবীর কথা চিন্তার সময় কোথায় মানুষের?

এতো কথা বলার মূল উদ্দেশ্য, হালের পিঠে চড়ে পৃথিবীতে আসা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কীর্তন করা। শুধু গণনাতেই, এ পর্যন্ত এই ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে দেড় লাখের বেশি প্রাণ। এর প্রতিকারে কোনো কূল-কিনারাই করতে পারছে না অতি বুদ্ধিমান মানবজাতি। আক্রান্ত আর মৃত মানুষের লাশ গণনা করতে করতেই শেষ হচ্ছে একেকটি দিন। অথচ জ্ঞানে-বিজ্ঞানে আমাদের কত অগ্রযাত্রা! তবে কি প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবেই এসেছে এই ভাইরাস?

করোনাভাইরাস সামলাতে সরকার বাহাদুরেরা লকডাউন করেছে পৃথিবীর বেশিরভাগ অঞ্চল। তাই মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ আছে যানবাহন, কল-কারখানা এবং দূষণ। এই মহামারিতে সুখে আছে, মানুষ ছাড়া সবাই।

নাসা বলছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। দূষণের মাত্রা কমেছে; বাতাস শুদ্ধ হচ্ছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতিনিয়তই প্রচার হচ্ছে এই পরিবর্তনের দৃশ্য। শব্দ দূষণ কমেছে। মানুষের অবর্তমানে প্রাণীরা তাদের আবাসস্থলে ফিরে আসছে। সমুদ্র উপকূলে ডলফিন খেলা করছে; কচ্ছপ বাচ্চা ফোটাচ্ছে। প্রকৃতির বুকে যেন আনন্দধারা বইছে। আর এরই সঙ্গে করোনারভাইরাসের জুজু দেখিয়ে পৃথিবীই যেন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে।

একটু হিসাব করলেই বোঝা যায়, কয়েক দশক আগেও পৃথিবীতে ভারসাম্য ছিল। আমরা বেঁচে ছিলাম প্রকৃতির মাঝেই। অথচ এখন প্রকৃতি বাঁচে আমাদের মাঝে। নগরায়নের লোভে আমরা বন-জঙ্গলের গাছ কেটে গড়ে তুলেছি কংক্রিটের জঙ্গল। পাহাড় উজাড় করে গড়ে তুলেছি অট্টালিকা। নষ্ট করেছি লাখো প্রাণীর বাস্তু সংস্থান। সুতরাং এর ফলাফল তো আমাদের বহন করতেই হবে।

করোনা পরিস্থিতিকে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করি; অথবা আর যাই করি, এটি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছ, আমরা কতটা রূঢ়; কতটা স্বার্থপর। হয়তো করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে আমরা আরও মানবিক হবো। আমাদের বোধ ও ভালোবাসার শক্তি হয়তো আরও বাড়বে। স্বার্থপরতা ভুলে আমরা হয়তো ভাববো, অপরাপর প্রাণীকুলের কথা।

পৃথিবীর দূষণ কমাতে আমরা হয়তো জনে একটি করে গাছ লাগাবো। অতিরিক্ত চাহিদা ভুলে আমরা হয়তো হবো মিতব্যয়ী। উন্নয়নের জোয়ারে আমরা হয়তো অন্য প্রাণীর ক্ষতি আর করবো না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী রেখে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন আমাদের নেতারা। নিজেদের খাই খাই স্বভাব বন্ধ করে আমরা হয়তো একটি প্রকৃতিবান্ধব মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলবো। এইটুকুনই প্রত্যাশা।

লেখক: ফখরুদ্দিন মেহেদী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক