ডাকাতিয়া নদীর উপর প্রতিদিন পশু জবাই করা হচ্ছে

  • আপডেট: ০৬:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
  • ২৮

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
পশু জবাই করে রক্তসহ বজ্য মাটিতে পুতে রাখার নিয়ম থাকলেও ফরিদগঞ্জে তা মানা হয় না। উপজেলা সদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীতে প্রকাশ্যে ফেলা হচ্ছে এসব বজ্য। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার প্রানকেন্দ্র কেরোয়া ব্রীজের উপর নির্মিত
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সদরে কেরোয়া ব্রিজ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে^ নদীর উপর পশু জবাই করা হচ্ছে। পাকা ভবনে পশু জবাই করা হলেও এর রক্ত ও ময়লা আবর্জনা পড়ছে নদীতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে তীব্রভাবে। যার ফলে ডাকাতিয়া নদীর পানি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে। সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন এই ব্যবস্থা করে দেন, এই সময় কারো সাথে আলোচনা না করায় এর মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ। উপজেলা প্রশাসন পৌর প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করলেও দেখেও না দেখার মত করে চলে যান। পশু জবাইর রক্ত ও ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে আশেপাশের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন কোমলমতী শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা নামে মুখে কাপড় দিয়া যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। তারপরেও স্বাস্থ্য ও ডাকাতিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পৌরবাসির অচিরেই ডাকাতিয়া নদীর উপর থেকে পশু জবাই বন্ধ করে ডাকাতিয়া নদীর দূষনের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনির কাছে অনুরোধ। বাজার ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আমরা দূর্গন্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করিতে পারছি না। আশেপাশের বাসা বাড়ির পরিবারের লোকজন জানান একটু বাতাসেই দূর্গন্ধ ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং আমরা সাথে সাথেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কেরোয়া ব্রিজ থেকে ডাকবাংলা নদীর ঘাট হয়ে শস্মান ঘাট পর্যন্ত নদীর দুইপাশ ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর পানি দূষন ও দখলকরে রাখছেন ভূমি দস্যুরা। নদীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিনিয়ত ডাকবাংলার ঘাট দিয়ে গোসল ও ধোয়া ফেলার কাজ করেন। নদীর নোংরা পরিবেশ দেখে কেউই নদীতে পানি গোসল ও ব্যবহার করতে চায়না।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

ডাকাতিয়া নদীর উপর প্রতিদিন পশু জবাই করা হচ্ছে

আপডেট: ০৬:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
পশু জবাই করে রক্তসহ বজ্য মাটিতে পুতে রাখার নিয়ম থাকলেও ফরিদগঞ্জে তা মানা হয় না। উপজেলা সদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীতে প্রকাশ্যে ফেলা হচ্ছে এসব বজ্য। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার প্রানকেন্দ্র কেরোয়া ব্রীজের উপর নির্মিত
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সদরে কেরোয়া ব্রিজ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে^ নদীর উপর পশু জবাই করা হচ্ছে। পাকা ভবনে পশু জবাই করা হলেও এর রক্ত ও ময়লা আবর্জনা পড়ছে নদীতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে তীব্রভাবে। যার ফলে ডাকাতিয়া নদীর পানি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে। সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন এই ব্যবস্থা করে দেন, এই সময় কারো সাথে আলোচনা না করায় এর মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ। উপজেলা প্রশাসন পৌর প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করলেও দেখেও না দেখার মত করে চলে যান। পশু জবাইর রক্ত ও ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে আশেপাশের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন কোমলমতী শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা নামে মুখে কাপড় দিয়া যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। তারপরেও স্বাস্থ্য ও ডাকাতিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পৌরবাসির অচিরেই ডাকাতিয়া নদীর উপর থেকে পশু জবাই বন্ধ করে ডাকাতিয়া নদীর দূষনের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনির কাছে অনুরোধ। বাজার ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আমরা দূর্গন্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করিতে পারছি না। আশেপাশের বাসা বাড়ির পরিবারের লোকজন জানান একটু বাতাসেই দূর্গন্ধ ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং আমরা সাথে সাথেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কেরোয়া ব্রিজ থেকে ডাকবাংলা নদীর ঘাট হয়ে শস্মান ঘাট পর্যন্ত নদীর দুইপাশ ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর পানি দূষন ও দখলকরে রাখছেন ভূমি দস্যুরা। নদীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিনিয়ত ডাকবাংলার ঘাট দিয়ে গোসল ও ধোয়া ফেলার কাজ করেন। নদীর নোংরা পরিবেশ দেখে কেউই নদীতে পানি গোসল ও ব্যবহার করতে চায়না।