১০০ তরুণীকে সেলিমের কাছে নিয়ে গেছেন তার গাড়িচালক

  • আপডেট: ০১:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৬

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা ও কান্ট্রি হেড সেলিম প্রধানকে গ্রেফতারের পর অপরাধজগতের অনেক ফিরিস্তি এখন র‌্যাবের হাতে। উঠে এসেছে তার চাঞ্চল্যকর নারী কেলেঙ্কারির নানা তথ্য। র‌্যাবের জেরায় ক্যাসিনো খালেদের ক্যাশিয়ার মাকসুদসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম বেরিয়ে এসেছে। লোকমান, ফিরোজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান তার অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তার এই অপকর্মে সঙ্গী শতাধিক তরুণী। সেলিমের অপকর্মের সাক্ষী সুলাইমান নামে তার এক গাড়িচালক জানিয়েছেন, সেলিমের গুলশানের বাসার চার তলার অফিসে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে। সেখানে গত ছয় মাসে অন্তত ১০০ তরুণীকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন তিনি। সেলিম মাসের বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। দেশে যখন আসতেন তখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে হতো। সারা রাত সেলিম অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। অথচ নিচতলায়ই তার বড় স্ত্রী থাকতেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাওয়ার পথে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘ ৩০ বছরে তার অপরাধজগতের অনেক ফিরিস্তি তিনি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে অপরাধজগতে পা দেওয়ার পর ৩৫০ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রোমানকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চার দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সেলিমের অপকর্মের বিষয়ে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম গুলশানের অফিসে তরুণীদের নিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন। তার অফিস থেকে এর বেশ কিছু প্রমাণও পেয়েছেন তারা। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তার অফিসকে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের জন্য ব্যবহার করতেন। র‌্যাব সূত্র জানায়, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে ঢাকা মহানগরী যুবলীগের (দক্ষিণ) আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ক্যাসিনো কারবার, জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করে তিনি এখন কোটিপতি। তার অপকর্মের সব তথ্য তাদের হাতে এসেছে। যুবলীগের অন্যান্য নেতার মতো মাকসুদও ক্যাসিনো কারবারের অন্যতম সদস্য। এর আগে খালেদ ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও মাকসুদসহ ২৫ জনের নাম বলেছেন বলে জানা যায়। ওই ২৫ জন ক্যাসিনোকান্ডে র পাশাপাশি চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। গত কয়েক বছরে মতিঝিলের ক্লাবপাড়া থেকে মাকসুদের হাত দিয়ে লাখ লাখ টাকা ওই নেতার হাতে যেত। মাকসুদ মূলত তার অঘোষিত ‘ক্যাশিয়ার’ ছিলেন বলে রিমান্ডে জানিয়েছেন খালেদ।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

১০০ তরুণীকে সেলিমের কাছে নিয়ে গেছেন তার গাড়িচালক

আপডেট: ০১:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা ও কান্ট্রি হেড সেলিম প্রধানকে গ্রেফতারের পর অপরাধজগতের অনেক ফিরিস্তি এখন র‌্যাবের হাতে। উঠে এসেছে তার চাঞ্চল্যকর নারী কেলেঙ্কারির নানা তথ্য। র‌্যাবের জেরায় ক্যাসিনো খালেদের ক্যাশিয়ার মাকসুদসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম বেরিয়ে এসেছে। লোকমান, ফিরোজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান তার অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তার এই অপকর্মে সঙ্গী শতাধিক তরুণী। সেলিমের অপকর্মের সাক্ষী সুলাইমান নামে তার এক গাড়িচালক জানিয়েছেন, সেলিমের গুলশানের বাসার চার তলার অফিসে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে। সেখানে গত ছয় মাসে অন্তত ১০০ তরুণীকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন তিনি। সেলিম মাসের বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। দেশে যখন আসতেন তখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে হতো। সারা রাত সেলিম অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। অথচ নিচতলায়ই তার বড় স্ত্রী থাকতেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাওয়ার পথে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘ ৩০ বছরে তার অপরাধজগতের অনেক ফিরিস্তি তিনি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে অপরাধজগতে পা দেওয়ার পর ৩৫০ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রোমানকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চার দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সেলিমের অপকর্মের বিষয়ে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম গুলশানের অফিসে তরুণীদের নিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন। তার অফিস থেকে এর বেশ কিছু প্রমাণও পেয়েছেন তারা। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তার অফিসকে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের জন্য ব্যবহার করতেন। র‌্যাব সূত্র জানায়, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে ঢাকা মহানগরী যুবলীগের (দক্ষিণ) আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ক্যাসিনো কারবার, জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করে তিনি এখন কোটিপতি। তার অপকর্মের সব তথ্য তাদের হাতে এসেছে। যুবলীগের অন্যান্য নেতার মতো মাকসুদও ক্যাসিনো কারবারের অন্যতম সদস্য। এর আগে খালেদ ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও মাকসুদসহ ২৫ জনের নাম বলেছেন বলে জানা যায়। ওই ২৫ জন ক্যাসিনোকান্ডে র পাশাপাশি চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। গত কয়েক বছরে মতিঝিলের ক্লাবপাড়া থেকে মাকসুদের হাত দিয়ে লাখ লাখ টাকা ওই নেতার হাতে যেত। মাকসুদ মূলত তার অঘোষিত ‘ক্যাশিয়ার’ ছিলেন বলে রিমান্ডে জানিয়েছেন খালেদ।