• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১ অক্টোবর, ২০১৯

নেতার আদর্শ থাকা চাই

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

——-কাজী মোরশেদ আলম——-

এই সমাজে তুমি একজন বড় নেতা। তোমার আদর্শ হতে হবে ভালো। এই সমাজের মানুষ ধার্মিক। কাজেই তোমারও হতে হবে ধার্মিক। চাল চলনে তোমার স্ত্রীর মাথায় নেই কাপড়। এদিক সেদিক করছে ঘুরা ফেরা। তাহলে তুমি সমাজের নেতা হতে পারো নি। নেতা হতে হলে অবশ্য তোমার হতে হবে আদর্শবান। তোমার আদর্শ নেই, চালচলনে ঠিক নেই, আল্লাহভীতি নেই তোমার হৃদয়ের মাঝে। আর তুমি হতে চাও সমাজের নেতা।

সমাজের নেতা হয়ে কি করবে তুমি? চাল চলনে তোমার নেই ঠিক, কাজেই সমাজ পরিচালনা করবে কি ভাবে তুমি? এই সমাজের মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, জাকাত প্রদান করে এবং হজ¦ও সম্পাদন করে। আর তুমি হতে চাও সমাজের নেতা। তুমিতো পালন করোনা পাঁচ স্তম্ভ। তোমার পরিবার করছেনা গোমটার ব্যবহার। অবাধে করছে বিচরণ। আর তুমি হতে চাও সমাজের নেতা। জেনে রাখো নেতা হলে তোমার পাঁচ স্তম্ভ পালন করতে হবে। মনের মাঝে থাকতে হবে আল্লাহ ভীতি। কিন্তু তোমার পরিবারের চালচলন খুবই মন্দ। তোমরা হয়ে গেছো অন্ধ।

এইতো সেদিন ফেইস বুকে দেখা গেছে তোমার স্ত্রীকে। মাথায় নেই গোমটা। পর পুরুষকে দেখাচ্ছে সৌন্দর্য। আর তুমি চাও নেতা হতে। তুমি নেতা হলে সমাজের মানুষকে করবে মন্দ, লেগে থাকবে দ্বন্দ্ব। না তোমাকে নেতা হিসাবে মান্য করা যাবে না। সে-ই হবে নেতা যিনি হবেন আদর্শ। আদর্শ ব্যক্তিরাই হবে সমাজের নেতা। নেতার থাকা চলবে না ইচ্ছাকৃত ভুলক্রুটি। চাল চলনে থাকতে হবে আদর্শতা। সকলের হতে হবে আস্থা ভাজন। কল্যাণে এগিয়ে যেতে হবে রাত্র দিবস ধরে। আস্থা ভাজন না হলে আয় উন্নতি সম্ভব না। এতে হবে সমাজের প্রচুর ক্ষতি। নেমে আসবে সমাজে দারুণ অবনিত। কাজেই সমাজের কল্যাণের জন্য এগিয়ে যেতে হবে। ভালো নেতার পরিচয় দিতে হবে। মন্দ থাকা চলবেনা। ভালো হয়ে নিজেকে গড়তে হবে, সমাজের মানুষকে ভালো করতে হবে। তোমার দ্বারা হবে মন্দ কাজ তা চলবে না। মন্দ কাজ অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। কোনোমতেই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া চলবে না। নেতা মানে মানুষকে উপকার করা। আর নিজে যদি ভালো না হও তাহলে দেশের মানুষকে ভালোবাসা যাবে না। মানুষের সাথে অন্যায় অত্যাচর করে অর্থ উপার্যনে থাকবে ব্যস্ত। এতো নেতার কাজ নয়। এতো হবে চোর ডাকাতের কাজ। সমাজে নেতা হবেন কিন্তু করবেন চুরি-ডাকাতি তোতো ঠিক নয়।

এরি জন্য আল্লাহর কাছে দিতে হবে জবাব। নেতা হতে হবে ভালো কাজ করার জন্য। স্মরণে রাখতে হবে আমি নেতা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষকে ভালোবাসবো। গরীব দুখির উন্নতির জন্য চেষ্টা করবো। নিজে পারলে জাকাত দিবো। যারা পারবে তাদেরকে জাকাত দেয়ার জন্য বলবো। জাকাত দ্বারা গরীব দুখির উন্নতি হবে। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার দ্বারা সমাজের মানুষকে বশ করতে হবে। কেননা তুমিতো একজন নেতা। নেতার কাজ দেশের মানুষকে ভালোবাসা ও দেশ উন্নতি করা। নিজের উন্নতি নয়, আগে দেশের ও দশের উন্নতি। আর দেশের উন্নতির মধ্য দিয়ে হবে তোমার উন্নতি। আদর্শ নেতার থাকতে হবে শিক্ষা। এমন শিক্ষা থাকতে হবে যা বাস্তব সম্মত, ধর্ম ভিত্তিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক। শিক্ষা যদি না থাকে নেতার তাহলেতো নেতার হবে না উৎকর্ষ সাধন। শিক্ষা বিহীন অন্ধকার। শিক্ষার ফলে খুলবে দ্বার, পশুত্ব থাকবেনা মাঝে, এমনকি কুসংস্কারও থাকবে না। থাকবে আলো, যার মাধ্যমে পথ চলা হবে সহজ। শিক্ষা বিস্তারে নিরক্ষতা থেকে পাবে রক্ষা। জ¦লবে আলো ঘরে ঘরে।

আমরা দেখেছি এক শ্রেণির লোকরা শিক্ষা অর্জন করেছে কিন্তু বাস্তবে তাদের মাঝে হয়নি উৎকর্ষ সাধন। তারা অন্ধকারের মাঝে রয়েছে পড়ে। এমন শিক্ষা করেছে অর্জন, ধর্ম শিক্ষা হয়েছে বর্জন। তাইতো তাদের মাঝে পশুত্ব সভাব রয়ে গেছে। স্মরণে রাখতে হবে যে, কোরআন হাদিস যদি শিক্ষা অর্জন না করে তাহলেতো তাকে সত্যিকারের মানুষ বলা যায় না। কেননা কোরান হাদিস শিক্ষা থাকলে তার ধর্মীয় জ্ঞান থাকবে, ভালো মন্দ বুঝতে পারবে। আমি এমন এক লোক দেখেছি সে সমাজের নেতা। কোরআন ও হাদিসের কোনো জ্ঞান নেই তার। আছে বিদেশে থেকে শিক্ষা অর্জন। কত বড়াইনা দেখায় সে। প্রায় বলে থাকে সে আমি এ শিক্ষা ওই শিক্ষা অর্জন করেছি। আমি অনেক জ্ঞানি। অথচ ইসলামি শিক্ষা নেই তার মাঝে। ফেইসবুকে তার স্ত্রীকে দেখা যায় গোমটা ছাড়া। তাকে বলা হয়েছিলো আপনার স্ত্রীর মাথায় নেই কাপড় তাহলেতো আপনার স্ত্রী বিশ^াসী নারী নয়। সে ক্ষেপে গেলো এবং বল্ল আমি অনেক বড় শিক্ষিত। এসব বলে কোনো লাভ নেই। কোরআনে আছে যেসব নারীদের মাথায় ও বুকে কাপড় আছে তারা বিশ^াসী নারী। কাজেই সে এরকম বড় কথা বলার কারণ কি? কারণ হলো সে বিদেশে থেকে যে শিক্ষা অর্জন করেছে সমাজের নেতা হওয়ার জন্য নয়।

কিন্তু সে এখন সমাজের নেতা। অনেক টাকা পায় সে। কাজেই আমরা মুসলমান আমাদের অন্যান্য শিক্ষার সাথে কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা অবশ্যই থাকা চাই। মানুষ মরে যাবে, কবরে থাকবে, আল্লাহর কাজে জবাব দিতে হবে। জীবনে চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে কিভাবে চলেছি, করেছি ও থেকেছি। সকল কিছুই জবাব দিতেই হবে। অতএব ইসলামী শিক্ষা আমাদের অর্জন করতে হবে। যদিও কারো কারোর ইসলামী জ্ঞান স্কুল কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় ছিলো না। কিন্তু নিজ উদ্যোগে কোরান ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করা লাগবে। এতে আমাদের সমাজের হবে অনেক কল্যাণ। সমাজের মাঝে ভালো হতে চাইলে ইসলামী জ্ঞান একান্ত দরকার। না হয় নেতার কার্যকলাপ হবে না ভালো, থেকে যাবে অনেক অনেক কালো। এতে সমাজের কল্যাণ হবে না। কল্যাণের জন্য হতে হবে আদর্শবান। আর এই আদর্শবান হওয়ার জন্য যা যা দরকার তা অবশ্যই পালন করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না সকল মানুষের মাঝে থাকে না ঐশ^রিক শক্তি। নবী রাসুল ও অলি দরবেশদের মাঝে আছে যা ঐশ^রিক জ্ঞান তা সাধারণ মানুষের মাঝে নেই। তা অর্জন করতে হবে শিক্ষা দীক্ষা অর্জন করে।

কাজী মোরশেদ আলম এম. এ. বি. এড (ডি.এইচ.এম.এস)
প্রধান সম্পাদক হৃদয়ে চাঁদপুর ও সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

মোরশেদ মিডিয়া সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র
গ্রাম-মোহনপুর, পো. মোহনপুর বাজার, থানা- দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!