অবশেষে হাজীগঞ্জে নওহাটা ফাজিল মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালন

  • আপডেট: ০১:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৯

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর হাজীগঞ্জের নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসায় আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে মাদরাসার শিক্ষক মিলনাতয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
এর আগে গত ১৫ আগষ্ট উপজেলাধীন কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। কিন্তু শোক দিবসের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এমনকি ব্যানারে জাতির জনকের নামটি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন না, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘শোক দিবসের ব্যানারে, হাজীগঞ্জে নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি না থাকায় সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকেন। ওই সভায় পূণরায় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যার ফলে বুধবার (২৮ আগষ্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, ৭মার্চের ভাষন ও রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইগুলো পড়তে হবে। যতবেশি পড়বে, তত বেশি জানবে। আর যত বেশি জানবে, তৎ বেশি বাংলাদেশকে ভালবাসবে। কারন বঙ্গবন্ধুকে জানলেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া ইতিহাস এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রেক্ষাপট জানতে পারবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলেই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্য ভিত্তিক সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতগুলো বই রয়েছে, সেগুলো লাইব্রেরিতে সংগ্রহে রেখে শিক্ষার্থীদের পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং ৭ মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরসহ জাতীয় দিবসগুলোতে পত্রিকায় প্রকাশিত ক্রোড়পত্র পড়তে হবে। এসব দিবসের সাথে বাংলাদেশের অস্তিত্ব জড়িত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সূর্ণিমল দেউড়ী, সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। মাদরাসার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী, অধ্যক্ষ আবু যোফার মো. আবু বকর সিদ্দিক, উপাধ্যক্ষ মাও. নুরুল আমিন, সহকারি অধ্যাপক হযরত আলী, এলাকাবাসীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিয্দ্ধোা মো. শহীদুল্লাহ, শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. সাঈদুর রহমান ও মো. রায়হান প্রমুখ।
এর আগে কোরআন তেলওয়াত করেন, শিক্ষার্থী মো. সাঈদুর রহমান, নাতে রাসূল (সা.) পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী, মো. নাজমুল হাসান এবং হামদ পরিবেশন করেন, শিক্ষার্থী মো. মাকসুদ, বঙ্গবন্ধুর উপর কবিতা আবৃত্তি করেন, শিক্ষার্থী মো. রায়হান ও আরিশা জাহান, ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করেন, শিক্ষার্থী সানজিদ আলম তক্বি।
সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম প্রধানীয়ার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, সহকারী মৌলভী মাও. আবু বকর। এরপর প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

বড়কুলে ২৪ প্রহর ব্যাপী অখণ্ড মহানাম যজ্ঞ ও ২৪তম বার্ষিক উৎসবের আয়োজন

অবশেষে হাজীগঞ্জে নওহাটা ফাজিল মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালন

আপডেট: ০১:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর হাজীগঞ্জের নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসায় আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে মাদরাসার শিক্ষক মিলনাতয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
এর আগে গত ১৫ আগষ্ট উপজেলাধীন কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। কিন্তু শোক দিবসের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এমনকি ব্যানারে জাতির জনকের নামটি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন না, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘শোক দিবসের ব্যানারে, হাজীগঞ্জে নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি না থাকায় সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকেন। ওই সভায় পূণরায় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যার ফলে বুধবার (২৮ আগষ্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, ৭মার্চের ভাষন ও রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইগুলো পড়তে হবে। যতবেশি পড়বে, তত বেশি জানবে। আর যত বেশি জানবে, তৎ বেশি বাংলাদেশকে ভালবাসবে। কারন বঙ্গবন্ধুকে জানলেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া ইতিহাস এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রেক্ষাপট জানতে পারবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলেই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্য ভিত্তিক সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতগুলো বই রয়েছে, সেগুলো লাইব্রেরিতে সংগ্রহে রেখে শিক্ষার্থীদের পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং ৭ মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরসহ জাতীয় দিবসগুলোতে পত্রিকায় প্রকাশিত ক্রোড়পত্র পড়তে হবে। এসব দিবসের সাথে বাংলাদেশের অস্তিত্ব জড়িত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সূর্ণিমল দেউড়ী, সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। মাদরাসার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী, অধ্যক্ষ আবু যোফার মো. আবু বকর সিদ্দিক, উপাধ্যক্ষ মাও. নুরুল আমিন, সহকারি অধ্যাপক হযরত আলী, এলাকাবাসীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিয্দ্ধোা মো. শহীদুল্লাহ, শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. সাঈদুর রহমান ও মো. রায়হান প্রমুখ।
এর আগে কোরআন তেলওয়াত করেন, শিক্ষার্থী মো. সাঈদুর রহমান, নাতে রাসূল (সা.) পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী, মো. নাজমুল হাসান এবং হামদ পরিবেশন করেন, শিক্ষার্থী মো. মাকসুদ, বঙ্গবন্ধুর উপর কবিতা আবৃত্তি করেন, শিক্ষার্থী মো. রায়হান ও আরিশা জাহান, ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করেন, শিক্ষার্থী সানজিদ আলম তক্বি।
সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম প্রধানীয়ার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, সহকারী মৌলভী মাও. আবু বকর। এরপর প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।