মো. জামালা হোসেন:
শাহরাস্তিতে সম্পত্তিগত বিরোধের জের অবশেষে নিরষন হয়েছে। উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কালোছোঁ গ্রামের মৃত হোসেন আহম্মেদের সাথে একই বাড়ির মোঃ সরোয়ার আলম এর সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। এই নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম রুহুল আমিন মাস্টার সহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বহু সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মানামানি না হওয়ায় ঐ বিরোধ থেকে যায়। ২নং ওয়ার্ডের কালোছোঁ মৌজায় সাবেক ২৬১ বর্তমান ৩১৮নং খতিয়ানে নরিংপুর চিতোষী সড়কের কালোছোঁ কার্বাডের উত্তর প¦ার্শে পুকুরের পাড়ে হোসেন আহম্মেদ গংদের একটি চায়ের দোকান ৩৮/৪০ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্যে সড়কের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে দোকানটি সরাতে হয় এবং দোকানের বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে প¦ার্শে রেখে দেন। এই সুযোগে ৭ই জুলাই প্রতি পক্ষ সারোয়ার আলমের ছেলে মাহমুদুল হাসান ইমরান সংঙ্গবন্ধ দলবল নিয়ে ওই সম্পত্তিতে জোর পূর্বক গাছ লাগান এবং পুরো সম্পত্তির মধ্যে বাশের ভেড়া দিয়ে দখল করার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে হোসেন আহম্মেদ গং গাছ ও ভেড়া দিতে বাধা প্রধান করেন। কিন্তু সে কাউকে কোনো তোয়াক্কা না করে দখল করার চেষ্টা করেন এবং পরের দিন ৮ই জুলাই শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা দায়ের করে প্রতি পক্ষকে গায়েল করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা তাঁতি লীগের সম্মানীত সদস্য মোঃ জামাল হোসেন গং জানান আমার বাবা হোসেন আহম্মেদ দীর্ঘ ৪০ বছর দখলকৃত জায়গায় ব্যবসা করে আসছেন। হঠ্যাৎ করে মাহমদুল হাসান ইমরান গং উক্ত সম্পত্তিতে গাছ ও ভেড়া দিয়ে জবর দখল করার চেষ্টা করেন। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যয় বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের নেক দৃষ্টি কামনা করি। এ বিষয়ে প্রতি পক্ষ মাহমুদুল হোসেন ইমরানের পিতা সারোয়ার আলম জানান আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে গাছ ও ভেড়া লাগিয়েছি। কাহারো সম্পত্তি দখল করিনি। তাদের দোকান পূর্বে সরকারী হালটে ছিল সত্য কিন্তু বর্তমানে রাস্তা হালটের জাগায় চলে গিয়েছে। বর্তমানে তারা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দোকান বসানোর চেষ্ঠা করেন। অবশেষে সকল জলপনা কল্পনার মধ্য দিয়ে উক্ত সম্পত্তির বিরোধ নিরষন হয়েছে বলে জানিয়েছেন। আমরা একে অপরের পরস্পর আত্মীয় আমাদের মধ্যে আর কোনো রিরোধ নেই। আমরা যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জীবন যাপন করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করি।