অবশেষে  শাহরাস্তির সংকর দাসের অভিযোগ এম পির নিকট

  • আপডেট: ০৩:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪০

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ
গ্রাম্য শালিসী গেল, থানায় অভিযোগ দিলো, সাংবাদিকদের কাছে গেল, এ এস পি (সার্কেল কচুয়া) এর কাছে অভিযোগ দিলো। অভিযুক্ত ব্যাক্তি কারো ডাকে সাড়া না দেওয়ায়, অভিযোগ কারী অবশেষে( শাহরাস্তি হাজিগঞ্জ) এর নয়নের মণি মেজর(অবঃ)রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি এর নিকট অভিযোগ দিয়েছে গত ১৫ আগস্ট।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়ঃ শাহরাস্তি উপজেলা এর রায়শ্রী  (দঃ)  ইউনিয়নের  নাহারা দাস বাড়ির মৃত রমেশ চন্দ্র দাসের পুত্র সংকর চন্দ্র দাস(৪৫) বেশ কয়েক বছর ধরে নিজ ইউনিয়নের খিলাবাজারে মাছের আড়ৎদারি করে আসছিল।  এতে পাইকাররা বাঁকী নিয়ে  টাকা না দেওয়ায় সে পথে বসেগেছে। সংকর দাস এ প্রতিনিধিকে  জানান যে,  আমার এ অবস্থা দেখে একই ইউনিয়নের  কুরকামতা গ্রামের জমর্দ্দার বাড়ির মৃত আলী আকবর এর ছেলে চাঁদপুর জেলা পরিষদের ১৩নং  ওয়ার্ড সদস্য মোঃ তুহিন খাঁন (৩৫) আমাকে বলেন ব্যবসা বন্ধ কেন? তখন আমি তাকে সব খুলে বল্লে, তিনি আমাকে বলেন কত লাগবে এক লাখ হলে চলবে? আমি বল্লাম চলবে। তিনি আমাকে অগ্রণী ব্যাংক মেহের কালি বাড়ি শাখা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ দিবে বলে, ১০,৭০০টাকা নিয়েছে।  কিন্তু সে ব্যাংক থেকে  ঋণ তুলতে পারে নাই,  না পেরে তাকে নিয়ে আসলেন খিলাবাজার  সোনালী ব্যাংকে। সেখান থেকে এক লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন গত ১৭/০১/২০১৯ইং।  এ টাকা আমাদেরকে  না দিয়ে তিনি নিয়ে গেছেন। আমার স্ত্রী টাকা ছাইলে তুহিন খাঁন  বলেন তার কাছে থাকলে টাকা ভেঙ্গে  পেলবে। সকালে টাকা নিয়ে বিকালে লাভ ও আসল টাকা জমা দিতে হবে।
মাস শেষ হওয়ার  পর হিসাব করার জন্য বসা হয়।  হিসাব শেষে সংকরকে বলা হয়েছে লাভের টাকা দুই ভাগ করার জন্য,  সংকর বলে কেন দুই ভাগ?  তুহিন খাঁন বলেন আমি যে তোর সাথে শয়ার দার। এ ভাবে প্রতি মাসে ভাগ নিয়ে যায় সে। সংকর জানায় আমার পাইকারদের কাছে অনেক টাকা বাঁকী, হাল খাতা দেওয়া হলে সেখানে ৪৫ হাজার টাকা নগদ উঠে। সে টাকাও তার কাছে। আমার ব্যবসা থেকে প্রায় চার মাসে
২৬ হাজার টাকা মসজিদে দিবে বলে নিয়েছে।
তার প্রয়োজনে  তার জমিনের কাগজ জমা দিয়ে আমার নামে দুই  লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন  পরান পুর ব্র্যাক ব্যাংক থেকে। দুই/ তিন কিস্তি দিয়ে এখন আর দেয় না। এখন কিস্তি জন্য আমাকে জালাতন করছেন ব্র্যাক ব্যাংকের লোকেরা। আবার আমার টাকার হিসাব ও দিচ্ছেন না। একদিন তার বাড়িতে হিসাব হবে বলে আমাকে ডাকেন, আমি গেলে তিনি তার হিসাব করে আমাকে বলেন এখানে সই দেই আমার কাছ থেকে সই নেয়  দুই লাখ ১হাজার সাত শত টাকার। আমি যখন বলেছি এবার আমার টাকার হিসাব লেখেন, তখন তিনি বলেন আমার এ ২ লাখ টাকা দিলে,  আমি তোর হিসাব দিব। উল্লেখ্য যে  সোনালী ব্যাংক থেকে
টাকা উত্তোলনের সময়  চেক বইয়ের চারটি পাতায় সই নিয়েছ। যখন দেখলাম বেশি জামেলা তখন আমি মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি  মহদোয়ের নিকট ফোনে ঝামেলার কথা
জানালে (কারো নাম বলিনী) স্যার আমাকে থানায় যাওয়ার জন্য বলেছেন।  আমি থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করলে,  পুলিশ এলাকায় এসে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন।  পুলিশ বলেছেন, আপুনি যে টাকা পাবেন তা সে স্বীকার করেছ্, কিন্তু বার বার খবর দেওয়া  সত্বেও থানায় আসছেন না। এখন আর ফোন ও ধরছেন না। আমি নিরোপায় হয়ে
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির এর কাছে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করি। সভাপতি  তুহিন খাঁন  সাথে যোগাযোগ করলে সে বলেন আমাকে সময় দেন আমি বিষয় টি বসে শেষ করে দিব। সে সেখানেও ধরা না দেওয়ায়।  আমি এ এস পি(কচুয়া সার্কেল) শেখ মোঃ রাসেল এর নিকট অভিযোগ দায়ের করলে,  তাকে ও আমাকে নোটিশ  দিলে আমিহাজির হলে ও সে হাজির হয় নাই। আমার টাকাগুলি হয়ত পাবো না। আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। সে বলে বেড়াচ্ছে তার বিচার কেউ করবে না। সে জেলা পরিষদের সদস্য। তাহলে আমি বিচার পাবো না। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেহ নাই। এ ব্যাপারে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম এল এল বি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান  তুহিন খাঁন  এর সাথে আমি কথা বলেছি, সে বলছে আমার বিরুদ্ধে  অভিযোগ  যখন হয়েছে  তাহলে ফরোয়ার্ড করে দেন।প্রেসক্লাবের সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তার সাথে আলাপ করলে সে আমার কাছে একটা দিনের সময় চায়। সে আমাদেরকে সাথে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করবে, আর আমার  সাথে ধরা দেয়নী। ফোন করলে ফোন ও ধরে না। সে কোথাও বসতে রাজি না।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি যা বললো

অবশেষে  শাহরাস্তির সংকর দাসের অভিযোগ এম পির নিকট

আপডেট: ০৩:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ
গ্রাম্য শালিসী গেল, থানায় অভিযোগ দিলো, সাংবাদিকদের কাছে গেল, এ এস পি (সার্কেল কচুয়া) এর কাছে অভিযোগ দিলো। অভিযুক্ত ব্যাক্তি কারো ডাকে সাড়া না দেওয়ায়, অভিযোগ কারী অবশেষে( শাহরাস্তি হাজিগঞ্জ) এর নয়নের মণি মেজর(অবঃ)রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি এর নিকট অভিযোগ দিয়েছে গত ১৫ আগস্ট।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়ঃ শাহরাস্তি উপজেলা এর রায়শ্রী  (দঃ)  ইউনিয়নের  নাহারা দাস বাড়ির মৃত রমেশ চন্দ্র দাসের পুত্র সংকর চন্দ্র দাস(৪৫) বেশ কয়েক বছর ধরে নিজ ইউনিয়নের খিলাবাজারে মাছের আড়ৎদারি করে আসছিল।  এতে পাইকাররা বাঁকী নিয়ে  টাকা না দেওয়ায় সে পথে বসেগেছে। সংকর দাস এ প্রতিনিধিকে  জানান যে,  আমার এ অবস্থা দেখে একই ইউনিয়নের  কুরকামতা গ্রামের জমর্দ্দার বাড়ির মৃত আলী আকবর এর ছেলে চাঁদপুর জেলা পরিষদের ১৩নং  ওয়ার্ড সদস্য মোঃ তুহিন খাঁন (৩৫) আমাকে বলেন ব্যবসা বন্ধ কেন? তখন আমি তাকে সব খুলে বল্লে, তিনি আমাকে বলেন কত লাগবে এক লাখ হলে চলবে? আমি বল্লাম চলবে। তিনি আমাকে অগ্রণী ব্যাংক মেহের কালি বাড়ি শাখা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ দিবে বলে, ১০,৭০০টাকা নিয়েছে।  কিন্তু সে ব্যাংক থেকে  ঋণ তুলতে পারে নাই,  না পেরে তাকে নিয়ে আসলেন খিলাবাজার  সোনালী ব্যাংকে। সেখান থেকে এক লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন গত ১৭/০১/২০১৯ইং।  এ টাকা আমাদেরকে  না দিয়ে তিনি নিয়ে গেছেন। আমার স্ত্রী টাকা ছাইলে তুহিন খাঁন  বলেন তার কাছে থাকলে টাকা ভেঙ্গে  পেলবে। সকালে টাকা নিয়ে বিকালে লাভ ও আসল টাকা জমা দিতে হবে।
মাস শেষ হওয়ার  পর হিসাব করার জন্য বসা হয়।  হিসাব শেষে সংকরকে বলা হয়েছে লাভের টাকা দুই ভাগ করার জন্য,  সংকর বলে কেন দুই ভাগ?  তুহিন খাঁন বলেন আমি যে তোর সাথে শয়ার দার। এ ভাবে প্রতি মাসে ভাগ নিয়ে যায় সে। সংকর জানায় আমার পাইকারদের কাছে অনেক টাকা বাঁকী, হাল খাতা দেওয়া হলে সেখানে ৪৫ হাজার টাকা নগদ উঠে। সে টাকাও তার কাছে। আমার ব্যবসা থেকে প্রায় চার মাসে
২৬ হাজার টাকা মসজিদে দিবে বলে নিয়েছে।
তার প্রয়োজনে  তার জমিনের কাগজ জমা দিয়ে আমার নামে দুই  লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন  পরান পুর ব্র্যাক ব্যাংক থেকে। দুই/ তিন কিস্তি দিয়ে এখন আর দেয় না। এখন কিস্তি জন্য আমাকে জালাতন করছেন ব্র্যাক ব্যাংকের লোকেরা। আবার আমার টাকার হিসাব ও দিচ্ছেন না। একদিন তার বাড়িতে হিসাব হবে বলে আমাকে ডাকেন, আমি গেলে তিনি তার হিসাব করে আমাকে বলেন এখানে সই দেই আমার কাছ থেকে সই নেয়  দুই লাখ ১হাজার সাত শত টাকার। আমি যখন বলেছি এবার আমার টাকার হিসাব লেখেন, তখন তিনি বলেন আমার এ ২ লাখ টাকা দিলে,  আমি তোর হিসাব দিব। উল্লেখ্য যে  সোনালী ব্যাংক থেকে
টাকা উত্তোলনের সময়  চেক বইয়ের চারটি পাতায় সই নিয়েছ। যখন দেখলাম বেশি জামেলা তখন আমি মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি  মহদোয়ের নিকট ফোনে ঝামেলার কথা
জানালে (কারো নাম বলিনী) স্যার আমাকে থানায় যাওয়ার জন্য বলেছেন।  আমি থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করলে,  পুলিশ এলাকায় এসে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন।  পুলিশ বলেছেন, আপুনি যে টাকা পাবেন তা সে স্বীকার করেছ্, কিন্তু বার বার খবর দেওয়া  সত্বেও থানায় আসছেন না। এখন আর ফোন ও ধরছেন না। আমি নিরোপায় হয়ে
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির এর কাছে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করি। সভাপতি  তুহিন খাঁন  সাথে যোগাযোগ করলে সে বলেন আমাকে সময় দেন আমি বিষয় টি বসে শেষ করে দিব। সে সেখানেও ধরা না দেওয়ায়।  আমি এ এস পি(কচুয়া সার্কেল) শেখ মোঃ রাসেল এর নিকট অভিযোগ দায়ের করলে,  তাকে ও আমাকে নোটিশ  দিলে আমিহাজির হলে ও সে হাজির হয় নাই। আমার টাকাগুলি হয়ত পাবো না। আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। সে বলে বেড়াচ্ছে তার বিচার কেউ করবে না। সে জেলা পরিষদের সদস্য। তাহলে আমি বিচার পাবো না। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেহ নাই। এ ব্যাপারে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম এল এল বি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান  তুহিন খাঁন  এর সাথে আমি কথা বলেছি, সে বলছে আমার বিরুদ্ধে  অভিযোগ  যখন হয়েছে  তাহলে ফরোয়ার্ড করে দেন।প্রেসক্লাবের সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তার সাথে আলাপ করলে সে আমার কাছে একটা দিনের সময় চায়। সে আমাদেরকে সাথে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করবে, আর আমার  সাথে ধরা দেয়নী। ফোন করলে ফোন ও ধরে না। সে কোথাও বসতে রাজি না।