হাজীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত-৪, আটক-২

  • আপডেট: ০৪:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
  • ৯০

গাজী মহিনউদ্দিন॥

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের মুকন্দসার গ্রামে ঘুষের টাকাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য বসতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ছকিনা বেগম (৫০) বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত আবু বেপারী ও রুহুল আমিনকে রাতেই আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।

রোববার (২৬ মে) দিনগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ওই গ্রামের বোয়াল বাড়ী ও বেপারী বাড়ী সংলগ্ন মসজিদের সামনে এই ঘটনায় ঘাটে। এই ঘটনায় আহত নারীর বাসুর আব্দুর রহিম হাজীগঞ্জ থানায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

আহতদের স্বজনরা জানান, গত কয়েকদিন আগে মামলার বাদী আব্দুর রহিমের দোকানের সামনে তার ছোট ভাতিজার সাথে স্থানীয় একটি রাস্তা নির্মাণ কাজে ঘুষের টাকা লেনদেনের কথা নিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রহিম উভয়কে শান্ত করে দেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য রহিমের দোকানের সামনে বসার কথা বললেও তারা রাজি হননি। পরে মসিজদের সামনে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করবেন এমন মুহুর্তে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আবু বেপারী, রহুল আমিন, হৃদয় বেপারী ও মাঈনুদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুর রহিম, ছকিনা বেগম, স্কুল ছাত্রী সুইটি আক্তারসহ তার আরেক বড় বোনের উপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে রহিম ছাড়া কোন পুরুষ লোক না থাকায় তারা মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে রাতেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপালে এনে ভর্তি করা হয়। ছকিনা বেগমের মাথা পেটে যায় এবং পুরো শরীরে বিদেশী সার্জ লাইটের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মামলার বাদী আ. রহিম বলেন, মূল ঘটনা হচ্ছে আমার ভাতিজি সুইটিকে সব সময় বিয়ে করার জন্য এবং স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিরক্ত করে হৃদয় বেপারী নামের বখাটে। কিন্তু ভাতিজির বয়স মাত্র ১২। মেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। এমন আপত্তিকর বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজন আমাদের পরিবারের মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ যাতে করে আটক ব্যক্তিসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন (রনি) মুঠো ফোনে জানান, এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। কোন পক্ষ এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

হাজীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত-৪, আটক-২

আপডেট: ০৪:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

গাজী মহিনউদ্দিন॥

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের মুকন্দসার গ্রামে ঘুষের টাকাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য বসতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ছকিনা বেগম (৫০) বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত আবু বেপারী ও রুহুল আমিনকে রাতেই আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।

রোববার (২৬ মে) দিনগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ওই গ্রামের বোয়াল বাড়ী ও বেপারী বাড়ী সংলগ্ন মসজিদের সামনে এই ঘটনায় ঘাটে। এই ঘটনায় আহত নারীর বাসুর আব্দুর রহিম হাজীগঞ্জ থানায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

আহতদের স্বজনরা জানান, গত কয়েকদিন আগে মামলার বাদী আব্দুর রহিমের দোকানের সামনে তার ছোট ভাতিজার সাথে স্থানীয় একটি রাস্তা নির্মাণ কাজে ঘুষের টাকা লেনদেনের কথা নিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রহিম উভয়কে শান্ত করে দেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য রহিমের দোকানের সামনে বসার কথা বললেও তারা রাজি হননি। পরে মসিজদের সামনে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করবেন এমন মুহুর্তে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আবু বেপারী, রহুল আমিন, হৃদয় বেপারী ও মাঈনুদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুর রহিম, ছকিনা বেগম, স্কুল ছাত্রী সুইটি আক্তারসহ তার আরেক বড় বোনের উপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে রহিম ছাড়া কোন পুরুষ লোক না থাকায় তারা মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে রাতেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপালে এনে ভর্তি করা হয়। ছকিনা বেগমের মাথা পেটে যায় এবং পুরো শরীরে বিদেশী সার্জ লাইটের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মামলার বাদী আ. রহিম বলেন, মূল ঘটনা হচ্ছে আমার ভাতিজি সুইটিকে সব সময় বিয়ে করার জন্য এবং স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিরক্ত করে হৃদয় বেপারী নামের বখাটে। কিন্তু ভাতিজির বয়স মাত্র ১২। মেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। এমন আপত্তিকর বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজন আমাদের পরিবারের মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ যাতে করে আটক ব্যক্তিসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন (রনি) মুঠো ফোনে জানান, এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। কোন পক্ষ এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি।