হাজীগঞ্জে ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা চেয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার আবেদন

  • আপডেট: ০১:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪৯

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
২০ বছরের টগবগে যুবক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মো. শহীদ উদ্দিন এ্যানি। এই বয়সে তার লিভারের ৪০ ভাগ অকেজো হয়ে গেছে। শারিরিক অসুস্থতায় তার পড়ালেখা এবং নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। যেন মৃত্যুর পথযাত্রী। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য নেই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার।
তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, প্রশাসন ও সহৃদয়বানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করে সংবাদকর্মীদের দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবা। শহীদ উদ্দিন এ্যানি উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের মালাপাড়া গ্রামের পাটওয়ারীর বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর ছোট ছেলে।
সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিষ্টারের পড়ালেখা করছে। গত ৬ মাস পূর্বে এ্যানি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলো। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সর্বশেষ বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ধরা পড়ে এ্যানির লিভারের শতকরা ৪০ ভাগ ড্যামেজ (অকেজো) হয়ে গেছে।
বর্তমানে বারডেম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তারেক মাহমুদ ভুইয়ার অধিনে চিকিৎসাধীন আছেন শহীদ উদ্দিন এ্যানি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী।
আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, আমি নিজেও রোগি। সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি করিয়েছি। আমার চিকিৎসায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গত ছয় মাসে ছেলের চিকিৎসায় প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমি সহায়-সম্বলহীন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছে, তাকে (শহীদ উদ্দিন এ্যানি) ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যয়ভার কীভাবে বহন করব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
প্রয়োজনে কিডনী বিক্রি করবো উল্লেখ করে আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, আমার মেধাবী ছেলে, মৃত্যুর প্রহর গুনছে। বাবা হয়ে আমি কিভাবে সহ্য করি। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, প্রশাসন ও সহৃদয়বানদের কাছে হাত পেতেছি। সবাই আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করুন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো, আল্লাহ আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা দিবেন। এ সময় তার কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
যারা আর্থিক সহযোগিতা করতে চান, তারা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৩৪০২৯১৯৭, সোনালী ব্যাংক, আলীগঞ্জ শাখা, চাঁদপুর অথবা বিকাশ ০১৮১৫-৪২৬৪২২ নম্বরে পাঠাতে পারবেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

কক্সবাকক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা

হাজীগঞ্জে ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা চেয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার আবেদন

আপডেট: ০১:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
২০ বছরের টগবগে যুবক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মো. শহীদ উদ্দিন এ্যানি। এই বয়সে তার লিভারের ৪০ ভাগ অকেজো হয়ে গেছে। শারিরিক অসুস্থতায় তার পড়ালেখা এবং নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। যেন মৃত্যুর পথযাত্রী। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য নেই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার।
তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, প্রশাসন ও সহৃদয়বানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করে সংবাদকর্মীদের দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবা। শহীদ উদ্দিন এ্যানি উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের মালাপাড়া গ্রামের পাটওয়ারীর বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর ছোট ছেলে।
সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিষ্টারের পড়ালেখা করছে। গত ৬ মাস পূর্বে এ্যানি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলো। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সর্বশেষ বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ধরা পড়ে এ্যানির লিভারের শতকরা ৪০ ভাগ ড্যামেজ (অকেজো) হয়ে গেছে।
বর্তমানে বারডেম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তারেক মাহমুদ ভুইয়ার অধিনে চিকিৎসাধীন আছেন শহীদ উদ্দিন এ্যানি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বাবা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী।
আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, আমি নিজেও রোগি। সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি করিয়েছি। আমার চিকিৎসায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গত ছয় মাসে ছেলের চিকিৎসায় প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমি সহায়-সম্বলহীন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছে, তাকে (শহীদ উদ্দিন এ্যানি) ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যয়ভার কীভাবে বহন করব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।
প্রয়োজনে কিডনী বিক্রি করবো উল্লেখ করে আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, আমার মেধাবী ছেলে, মৃত্যুর প্রহর গুনছে। বাবা হয়ে আমি কিভাবে সহ্য করি। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, প্রশাসন ও সহৃদয়বানদের কাছে হাত পেতেছি। সবাই আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করুন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো, আল্লাহ আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা দিবেন। এ সময় তার কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
যারা আর্থিক সহযোগিতা করতে চান, তারা আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৩৪০২৯১৯৭, সোনালী ব্যাংক, আলীগঞ্জ শাখা, চাঁদপুর অথবা বিকাশ ০১৮১৫-৪২৬৪২২ নম্বরে পাঠাতে পারবেন।