হাজীগঞ্জের বলাখাল জেএন হাই স্কুল এন্ড করিগরি কলেজের এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২ পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রের সামনে থেকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিযে নির্মম নির্যাতন করেছে কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরতর বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
বোরবার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) অনুষ্ঠিত পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে আহতদের বিদ্যালয়ের পক্ষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্ততি চলছে। আহতরা হলেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বানিজ্য বিভাগের ফাহিম ও রাযহান। দু’জনেই এদিন ফিন্যন্স বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ধেররার জনি গং এ কান্ড ঘটনায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধেররা বনাম বাকিলার মাঝে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ধেররা পক্ষে খেলতে আসা একজনের সাথে বাকিলা এক যুবকের সাথে পুরনো বিষয় নিয়ে মাঠে কথা কাটাকাটি হয়।
সেই ঘটনার জেরে রবিবার পরীক্ষা শেষে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে থেকে ধেররাতে নিয়ে বেদম মারধর করে গুরতর আহত করা হয়।
ফাহিম ও রাযহানকে মারধর করকালে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে বলা হয়, শনিবার খেলার সময় তাদেরকে (ধেররার ছেলেদের) বাকিলা যারা মেরেছে তাদেরকে খবর দিয়ে ধেররা নিতে বারবার চাপ দিতে থেকে গংটি।
গুরতর আহত শিক্ষার্থী ফাহিম জানান, শনিবার বিকেলে বাকিলা মাঠে কি হইছে আমি জানিই না। অথচ পরীক্ষা শেষে জনিসহ ৪ জনে মিলে জোর করে আমাকে সিএনজিতে করে ধেররা নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আরো কয়েকজনকে ফোন করে তারা ৮/১০ জন জড়ো হয়। এর পরেই তাদের একজনের কোমরের বেল্ট খুলে আমাকে বেদম মারধর করে। এ সময় কয়েকজন মুরুব্বী আমাকে মারধর করার বিষয়টি দেখে তাদের হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সিএনজিতে তুলে বাকিলা পাঠিয়ে দেয়।
বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, কোন কারন ছাড়া আমাদের দুই পরীক্ষার্থীকে ধেররাতে নিয়ে মারধর করে। পরে আমরা আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে চিকিৎসা করাই। এর পরেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থায় যাবো।
বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের কেন্দ্র সচিব খোদেজা বেগম জানান, বিষয়টি বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিছুক্ষন আগে জানিয়েছেন তবে বিস্তারিত জেনে জানাবো। পরে এই অধ্যক্ষকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।