হাজীগঞ্জে ৩২ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী এক মুসলিম নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে প্রীতম চন্দ্র দাস (২২) নামের একজনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ দিন পুলিশ অভিযুক্ত প্রীতম চন্দ্র দাসকে আটক এবং ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে, বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামের মালি বাড়ির নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী যুবতি মেয়েটির মা নেই। সে শারিরিক ও বাক প্রতিবন্ধী হলেও দিনের বেলায় বাড়িতে থাকতে চায়না। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়, আবার বাড়িতে চলে আসে এবং মাঝে মধ্যে দুই/একটি কথাও বলে। সে মানুষের কাছ থেকে টাকা ও খাবার হাত পেতে চেয়ে নেয়।
গত ২১ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মেয়েটি তার পাশের গ্রাম ধড্ডা চলে যায় এবং ওই গ্রামে সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানে গিয়ে বসে। এসময় প্রীতম চন্দ্র দাস ওই দোকানে আসিলে মেয়েটি তার কাছে হাত পাতলে (সম্ভবত খাবার বা টাকা চায়) সে ১০ টাকা দিবে বলে আশ^স্ত করে। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় মেয়েটি তার পিছু নেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝায় যে, কেউ তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ও তাকে ধর্ষণ করে এবং সে তার বাবার হাত ধরে সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের কাছে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় এক নারী জানান, ওই পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে প্রীতম মেয়েটিকে ১০ টাকা দিতে তিনি দেখেছেন ।
মেয়েটির বাবা সংবাদকর্মীদের বলেন, স্থানীয় এক নারী ধড্ডা সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে আমার মেয়ে ও প্রীতম দাঁড়িয়ে আছে এবং আমার মেয়েকে সে ১০টাকা দিচ্ছে। পরবর্তীতে মেয়ের কথা ও ইশারা-ইঙ্গিত অনুযায়ী বুঝতে পারি, সে (প্রীতম) পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে প্রীতম গা ঢাকা দেয়। আমি মেম্বার (ইউপি সদস্য) সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ ও মেডিকেল রিপোর্টের জন্য মেয়েটিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।