গুপ্টিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করায় ফরিদগঞ্জ থানা রিসিভার গ্রহণ করে

উপজেলার গুপ্টি এলাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ। নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি এবং দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণ করেছেন প্রতিপক্ষ ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে খোকন। নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার পরও পেশি শক্তি প্রদর্শণ করে তৎকালিন সময়ে ক্ষমতাশীনদের দাপট দেখিয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান করে’ জোর পূর্বক জমি দখল করে নেয় খোকন গংরা। উপায় না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হন শিক্ষক নাছির উদ্দিন। কিন্তু আদালতের আদেশকে পর্যন্ত খোকন উপেক্ষা করেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গুপ্টি গ্রামের মোহাম্মদ মুছলিম মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন। নাছির উদ্দিন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক (ননক্যাডার)। তাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি পুরনো হলেও সম্পত্তি ছিলো অন্য একজনের। শিক্ষক মানুষ, অন্য রাস্তা ব্যবহারে দ্বিধা ছিলো। তাইতো বাড়ি যাওয়ার রাস্তার জন্য ২০১৯ সালে আবদুর রব গংদের কাছ থেকে ৬৫ নং খতিয়ানের ৮৫১ দাগে ৩০ শতক ও ৮৫৫ দাগে ২ শতক জমি ক্রয় করেন। যার চৌহদ্দি দেয়া আছে। দলিল নং ১১১৩। ক্রয়ের পর নাছির উদ্দিন উক্ত ভূমি নিজ নামে খারিজও করে নেন। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বি.এস রের্কডিয় মালিক নাছিমা বেগম গং থেকে ১৮১ নং খতিয়ান থেকে ১০০৫ দাগে আরো ৭.৬৮ শতক ভূমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে চলাচলের রাস্তার জন্য চৌহদ্দিকৃত ২ শতক জমিও আছে। যার দলিল নং ৫৩২।

খোকন ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবদুর রব গং এর ওয়ারিস ও আবদুল মালেক শেখ’র কাছ থেকে ৬৫ ও ১৮১ নং খতিয়ানের ১০০৫ দাগে সাড়ে ৩২ শতক ভূমি ক্রয় করে। কিন্তু খোকন অনৈতিকভাবে নাছির উদ্দিনের চৌহদ্দিসহ ক্রয়কৃত ভূমি তার দলিলে অন্তভুক্ত করে নেয়। যা স্পষ্ট প্রতারণা। অথচ ঐদাগে মোট ১.৯২ শতক ভূমি রয়েছে। খোকন অশান্তি করার লক্ষ্যে জেনে শুনে ইচ্ছেকৃতভাবে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে এই নেক্কারজনক কাজ করে করেছে। খোকন জমি ক্রয় করে নাছির উদ্দিনের খরিদাকৃত জমি এবং পুরোনো রাস্তাসহ বাউন্ডারি করার পরিকল্পনা নিলে ২০২৩ সালের ৪ জুলাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় খোকনকে। নাছির উদ্দিন অসহায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদগঞ্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে বিগত ২৪/৭/২০২৩ ও ২৫/১০/২০২৩ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিজ্ঞ আদালত প্রতিপক্ষগণের বিরুদ্ধে প্রসেডিং ড্র এর আদেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষগণ বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, চাঁদপুর এর ফৌ.রি. ৩৯৯/২০২৩ নং মোকদ্দমা দায়ের করলে বিগত ৫/৫/২০২৪ তারিখে উক্ত রিভিশন মোকদ্দমা না মঞ্জুরক্রমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বহাল ও বলবত রাখেন।

মামলা করার পর বিবাদী জোর করে বাদীর ক্রয়কৃত ভূমি ও চলাচলকৃত রাস্তাসহ বাউন্ডারি ওয়াল করে নেয়। তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার বিজ্ঞ আদালতে যে প্রতিবেদন দাখিল করেন তার অংশ বিশেষ হলো,“ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুবিদপুর কর্তৃক ২৩/৭/২৩ তারিখে সম্পাদিত প্রাথমিক তদন্তের সময় উক্ত নতুন বাউন্ডারী ওয়াল ছিলো না। কিন্তু নিম্বস্বাক্ষরকারী কর্তৃক ১৪/৯/২০২৩ তারিখে সরেজমিন তদন্তের সময় নতুন বাউন্ডারী ওয়াল দৃশ্যমান দেখা যায় অর্থাৎ বাদীপক্ষ অত্র মামলা দায়ের এর পর রাতারাতি বিবাদীপক্ষ বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণ করে দীর্ঘদিনের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পূর্বে নালিশী ভূমিতে প্রায় ৭ ফিট মাটির রাস্তা ছিল এবং তা বাদীসহ নালিশী ভূমির পিছনে বসবাসরত অন্যান্য অধিবাসীগণের পূর্ব হতেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হত। বিবাদীপক্ষ ৬/৭/২০২৩ হতে রাস্তা বন্ধের কাজ শুরু করতে থাকে।”

আদালতের আদেশ অমান্য করে খোকন নিমার্ণ কাজ পুনরায় শুরু করেন। এমনকী স্থায়ীভাবে ইমারত নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ভূমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে থাকে। এমতাবস্থায় নাছির উদ্দিন ১৩/১১/২০২৪ তারিখে নালিশী তপছিল ভূমিতে স্থিতিবস্থার আদেশের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত চলাচলের পথ উন্মক্ত থাকবে বলে আদেশ প্রদান করেন। নালিশী ভূমিতে চলাচলের পথে যাতে কেউ কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করলে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ’র প্রতিনিধি ১৪/১১/২০২৪ তারিখে সরজমিনে গিয়ে প্রতিপক্ষগণকে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ সম্পর্কে অবগত করিয়া কাজ বন্ধ করে দেন।

৩ দিন কাজ বন্ধ রেখে ১৮/১১/২০২৪ তারিখে পুনঃরায় কাজ শুরু করে। এতে শান্তিভঙ্গ এবং খুন খারাপীরসহ অস্থিতিশীল অবস্থার আশংকা প্রকাশ করে বাদী বিজ্ঞ আদালতের কাছে ২০/১১/২০২৪ তারিখে রিসিভার নিয়োগের প্রার্থনা করেন। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে ২০/১১/২০২৪ তারিখে ২০০ নম্বার স্মারকে নালিশী ভূমিতে অফিসার ইনচার্জ, ফরিদগঞ্জ থানাকে রিসিভার নিয়োগ করেন। সে আলোকে গত ২২/১১/২০২৪ তারিখ শুক্রবার অফিসার ইনচার্জের পক্ষে এস.আই নাসির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নালিশী ভূমির রিসিভার গ্রহণ করেন। ২য় পক্ষ নালিশী ভূমি রিসিভারের অনুকুলে বুঝাইয়া দেয় এবং এস.আই নাসির নালিশী ভূমিতে লাল কাপড় ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

বাদী নাছির উদ্দিন বলেন, আমি একজন শিক্ষক মানুষ। আমার প্রতিপক্ষরা পেশী শক্তি এবং টাকার প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে আমার পথের জায়গাসহ বাউন্ডারি ওয়াল করে। কোনো সভ্য মানুষ এমন করতে পারে না। আমার পেশি শক্তিও নেই, টাকার জোরও নেই। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তারা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শণ করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। বিবাদী আমাকে এবং আমার স্বাক্ষীদের নানাভাবে হুমকী ধুমকী দিচ্ছে।

বিবাদী খোকন বলেন, উনি (নাছির উদ্দিন) ‘যে দুই শতক জায়গা কিনেছেন তা রাস্তা কভার করে না।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমি যা বলি তা শতভাগ সঠিক না। আমি বসে সামাধান করতে রাজি।’
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, এদের এই জায়গা নিয়ে অনেক আগে থেকে জামেলা। এ বিষয়ে ২০২৩ সালে একটি মামলাও হয়। মামলার পরে খোকন জায়গা কিনে।

এস.আই নাসির বলেন, মামলার বিবাদী দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বাউন্ডারি করে দেয়। আদালতের আদেশ পেয়ে আমরা সেখানেই যাই এবং রিসিভার গ্রহণ করি। সেই সাথে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেই।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

গুপ্টিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করায় ফরিদগঞ্জ থানা রিসিভার গ্রহণ করে

আপডেট: ১০:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

উপজেলার গুপ্টি এলাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ। নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি এবং দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণ করেছেন প্রতিপক্ষ ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে খোকন। নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার পরও পেশি শক্তি প্রদর্শণ করে তৎকালিন সময়ে ক্ষমতাশীনদের দাপট দেখিয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান করে’ জোর পূর্বক জমি দখল করে নেয় খোকন গংরা। উপায় না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হন শিক্ষক নাছির উদ্দিন। কিন্তু আদালতের আদেশকে পর্যন্ত খোকন উপেক্ষা করেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গুপ্টি গ্রামের মোহাম্মদ মুছলিম মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন। নাছির উদ্দিন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক (ননক্যাডার)। তাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি পুরনো হলেও সম্পত্তি ছিলো অন্য একজনের। শিক্ষক মানুষ, অন্য রাস্তা ব্যবহারে দ্বিধা ছিলো। তাইতো বাড়ি যাওয়ার রাস্তার জন্য ২০১৯ সালে আবদুর রব গংদের কাছ থেকে ৬৫ নং খতিয়ানের ৮৫১ দাগে ৩০ শতক ও ৮৫৫ দাগে ২ শতক জমি ক্রয় করেন। যার চৌহদ্দি দেয়া আছে। দলিল নং ১১১৩। ক্রয়ের পর নাছির উদ্দিন উক্ত ভূমি নিজ নামে খারিজও করে নেন। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বি.এস রের্কডিয় মালিক নাছিমা বেগম গং থেকে ১৮১ নং খতিয়ান থেকে ১০০৫ দাগে আরো ৭.৬৮ শতক ভূমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে চলাচলের রাস্তার জন্য চৌহদ্দিকৃত ২ শতক জমিও আছে। যার দলিল নং ৫৩২।

খোকন ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবদুর রব গং এর ওয়ারিস ও আবদুল মালেক শেখ’র কাছ থেকে ৬৫ ও ১৮১ নং খতিয়ানের ১০০৫ দাগে সাড়ে ৩২ শতক ভূমি ক্রয় করে। কিন্তু খোকন অনৈতিকভাবে নাছির উদ্দিনের চৌহদ্দিসহ ক্রয়কৃত ভূমি তার দলিলে অন্তভুক্ত করে নেয়। যা স্পষ্ট প্রতারণা। অথচ ঐদাগে মোট ১.৯২ শতক ভূমি রয়েছে। খোকন অশান্তি করার লক্ষ্যে জেনে শুনে ইচ্ছেকৃতভাবে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে এই নেক্কারজনক কাজ করে করেছে। খোকন জমি ক্রয় করে নাছির উদ্দিনের খরিদাকৃত জমি এবং পুরোনো রাস্তাসহ বাউন্ডারি করার পরিকল্পনা নিলে ২০২৩ সালের ৪ জুলাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় খোকনকে। নাছির উদ্দিন অসহায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদগঞ্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে বিগত ২৪/৭/২০২৩ ও ২৫/১০/২০২৩ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিজ্ঞ আদালত প্রতিপক্ষগণের বিরুদ্ধে প্রসেডিং ড্র এর আদেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষগণ বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, চাঁদপুর এর ফৌ.রি. ৩৯৯/২০২৩ নং মোকদ্দমা দায়ের করলে বিগত ৫/৫/২০২৪ তারিখে উক্ত রিভিশন মোকদ্দমা না মঞ্জুরক্রমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বহাল ও বলবত রাখেন।

মামলা করার পর বিবাদী জোর করে বাদীর ক্রয়কৃত ভূমি ও চলাচলকৃত রাস্তাসহ বাউন্ডারি ওয়াল করে নেয়। তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার বিজ্ঞ আদালতে যে প্রতিবেদন দাখিল করেন তার অংশ বিশেষ হলো,“ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুবিদপুর কর্তৃক ২৩/৭/২৩ তারিখে সম্পাদিত প্রাথমিক তদন্তের সময় উক্ত নতুন বাউন্ডারী ওয়াল ছিলো না। কিন্তু নিম্বস্বাক্ষরকারী কর্তৃক ১৪/৯/২০২৩ তারিখে সরেজমিন তদন্তের সময় নতুন বাউন্ডারী ওয়াল দৃশ্যমান দেখা যায় অর্থাৎ বাদীপক্ষ অত্র মামলা দায়ের এর পর রাতারাতি বিবাদীপক্ষ বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণ করে দীর্ঘদিনের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পূর্বে নালিশী ভূমিতে প্রায় ৭ ফিট মাটির রাস্তা ছিল এবং তা বাদীসহ নালিশী ভূমির পিছনে বসবাসরত অন্যান্য অধিবাসীগণের পূর্ব হতেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হত। বিবাদীপক্ষ ৬/৭/২০২৩ হতে রাস্তা বন্ধের কাজ শুরু করতে থাকে।”

আদালতের আদেশ অমান্য করে খোকন নিমার্ণ কাজ পুনরায় শুরু করেন। এমনকী স্থায়ীভাবে ইমারত নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ভূমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে থাকে। এমতাবস্থায় নাছির উদ্দিন ১৩/১১/২০২৪ তারিখে নালিশী তপছিল ভূমিতে স্থিতিবস্থার আদেশের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত চলাচলের পথ উন্মক্ত থাকবে বলে আদেশ প্রদান করেন। নালিশী ভূমিতে চলাচলের পথে যাতে কেউ কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করলে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ’র প্রতিনিধি ১৪/১১/২০২৪ তারিখে সরজমিনে গিয়ে প্রতিপক্ষগণকে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ সম্পর্কে অবগত করিয়া কাজ বন্ধ করে দেন।

৩ দিন কাজ বন্ধ রেখে ১৮/১১/২০২৪ তারিখে পুনঃরায় কাজ শুরু করে। এতে শান্তিভঙ্গ এবং খুন খারাপীরসহ অস্থিতিশীল অবস্থার আশংকা প্রকাশ করে বাদী বিজ্ঞ আদালতের কাছে ২০/১১/২০২৪ তারিখে রিসিভার নিয়োগের প্রার্থনা করেন। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে ২০/১১/২০২৪ তারিখে ২০০ নম্বার স্মারকে নালিশী ভূমিতে অফিসার ইনচার্জ, ফরিদগঞ্জ থানাকে রিসিভার নিয়োগ করেন। সে আলোকে গত ২২/১১/২০২৪ তারিখ শুক্রবার অফিসার ইনচার্জের পক্ষে এস.আই নাসির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নালিশী ভূমির রিসিভার গ্রহণ করেন। ২য় পক্ষ নালিশী ভূমি রিসিভারের অনুকুলে বুঝাইয়া দেয় এবং এস.আই নাসির নালিশী ভূমিতে লাল কাপড় ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

বাদী নাছির উদ্দিন বলেন, আমি একজন শিক্ষক মানুষ। আমার প্রতিপক্ষরা পেশী শক্তি এবং টাকার প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে আমার পথের জায়গাসহ বাউন্ডারি ওয়াল করে। কোনো সভ্য মানুষ এমন করতে পারে না। আমার পেশি শক্তিও নেই, টাকার জোরও নেই। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তারা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শণ করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। বিবাদী আমাকে এবং আমার স্বাক্ষীদের নানাভাবে হুমকী ধুমকী দিচ্ছে।

বিবাদী খোকন বলেন, উনি (নাছির উদ্দিন) ‘যে দুই শতক জায়গা কিনেছেন তা রাস্তা কভার করে না।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমি যা বলি তা শতভাগ সঠিক না। আমি বসে সামাধান করতে রাজি।’
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, এদের এই জায়গা নিয়ে অনেক আগে থেকে জামেলা। এ বিষয়ে ২০২৩ সালে একটি মামলাও হয়। মামলার পরে খোকন জায়গা কিনে।

এস.আই নাসির বলেন, মামলার বিবাদী দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বাউন্ডারি করে দেয়। আদালতের আদেশ পেয়ে আমরা সেখানেই যাই এবং রিসিভার গ্রহণ করি। সেই সাথে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেই।