চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, নিজের দপ্তরের কাজ করার জন্যে উপযুক্ত ব্যক্তি আপনি নিজেই। নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া যেটা লেগেছে তা অব্যাহত রাখতে আপনাদের সহযেগিতা প্রয়োজন।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দপ্তরগুলেতে অনিয়মে ছেয়ে গেছে। আমরা ভীতু হয়ে গেছি। ভয় পেলে চলবে না। আমাদের ভয়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সেই আগের নিয়মে চলতে পারি না। আসুন আমরা এখন থেকেই শুরু করি।
জেলা প্রশাসক পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার বাজেট খব কম। সেক্ষেত্রে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মেরামত করতে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এরজন্যে চাঁদপুরবাসীও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চাঁদপুরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তাহচ্ছে শহরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আমরা সড়ক বিভাগকে দিতে চাই। যার ফলে দ্রুত কাজ সড়কের দ্রুত কাজ করা হবে এবং জনদুর্ভোগ কমবে।
তিনি আরো বলেন, পুরো জেলাতে যে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও তিনি শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে, কুমিল্লা সড়কে সংস্কার কাজের দ্রুত সংস্কার ও পৌর কবরস্থানের প্রবেশদ্বার গুলো দ্রুত লাগানোর জন্যেও পৌর কর্তৃপক্ষে আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কে বলেন, বিদ্যুৎ যেন এসময় না যায় তার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কারন কৃষকদের এখন সেচের পানির দরকার হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ যেন না যায় সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে আগে থেকেই বলে রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান সম্পর্কে বলেন, পলিথিন বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা লাগবে। আপনারা যেখানে জানবেন যে পলিথিন মজুদ রয়েছে আমাদের তখনই ম্যাসেজ দিবেন আমরা সেখানেও অভিযান পরিচালনা করবো। এছাড়াও যাদের অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে, সেগুলোর নাম লিস্ট করে অভিযান করতে হবে।
জেলা প্রশাসক জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে বলেন, আমাদের জেলাতে শিক্ষা ব্যবস্থা এখন তেমন ভালো নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরণের অনিয়মগুলো রয়েছে তা আমরা জানি, সেসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও সভায় বিভিন্ন দপ্তর প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেছেন, যেকোন দপ্তরে পুলিশি সহায়তা প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়ে সহায়তা পাননি সেটা আমার জানা নাই। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করনীয় তা আমরা করে যাচ্ছি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটলেও তা প্রতিরোধ করছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
এছাড়াও সভায় জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।