সব জল্পনা-কল্পনা ভয়াবহতা, টান টান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানে হামলা চালয়েছে তেলআবিব। শুক্রবার ভো দিবাগত ভোর রাতে তেহরানে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরাইল।
তেহরানের পারমানবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে তেল আবিব থেকে দাবি উঠেছিল। এছাড়া তেল অবকাঠামোতে হামলার বিষয়টিও আলোচনায় ছিল।
তবে ইরানভিত্তিক বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরাইল তেহরানের সামরিক ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছে। তেলের খনি সম্পর্কিত কোনো অবকাঠামোতে হামলা হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টােবর) এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
ইরানের আধা-সরকারি ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ‘তেহরানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ইসরাইলি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে’।
ইরানি সংবাদমাধ্যম আরও বলেছে, ‘রাজধানীর দক্ষিণে একটি তেল শোধনাগারে আগুন বা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি’।
অন্যদিকে তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ‘তেহরানের তেল শোধনাগারে আগুন বা বিস্ফোরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তেহরানের বিমানবন্দরগুলোতে কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত রয়েছে।
তবে অন্য আরেক ঘোষণায় ইরান জানিয়েছে, দেশটির সব রুটে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
অন্যদিকে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক ফোদ ইজাদি ইরানের রাজধানী থেকে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহর এখন খুব শান্ত’
‘এখন তেহরানে ভোর ৪টা এবং আমরা বাইরে কিছু ঘটছে, বা কোনো কার্যকলাপ বা আন্দোলন দেখতে পাচ্ছি না’।
‘সুতরাং শহর স্বাভাবিক হিসাবে কাজ করছে এবং যদি আমাদের ওপর কোনো আক্রমণ হয়েও থাকে, আমি মনে করি সেগুলো এত বড় ছিল না’।