হাজীগঞ্জে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছেলে আটক

  • আপডেট: ০৬:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ০ Views

হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজ পিতা আক্তার হোসেন (৫৮) কে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে সাকিব হোসেন (২৫)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সাকিব, তবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ দেড় মাস পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পারিবারিক বিরোধের একপর্যায়ে সাকিব তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা মামলা নং ৫ হিসেবে নথিভুক্ত হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান হাজীগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন।

দেড় মাস পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাকিবকে শনাক্ত করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজীগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম তাকে আটক করে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুকের নির্দেশনা ও ওসি (তদন্ত) মিন্টু দত্তের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীরে নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে সাকিবকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। সাকিবের নির্দেশনা অনুযায়ী, টোরাগড় সওদাগর বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি উদ্ধার করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি জানান, “হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সাকিব পলাতক ছিল। তাকে আটকের জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে গতকাল ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হই। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে হত্যার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

এই মর্মান্তিক ঘটনা হাজীগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআই প্রধান

হাজীগঞ্জে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছেলে আটক

আপডেট: ০৬:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজ পিতা আক্তার হোসেন (৫৮) কে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে সাকিব হোসেন (২৫)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সাকিব, তবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ দেড় মাস পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পারিবারিক বিরোধের একপর্যায়ে সাকিব তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা মামলা নং ৫ হিসেবে নথিভুক্ত হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান হাজীগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন।

দেড় মাস পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাকিবকে শনাক্ত করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজীগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম তাকে আটক করে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুকের নির্দেশনা ও ওসি (তদন্ত) মিন্টু দত্তের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীরে নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে সাকিবকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। সাকিবের নির্দেশনা অনুযায়ী, টোরাগড় সওদাগর বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি উদ্ধার করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি জানান, “হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সাকিব পলাতক ছিল। তাকে আটকের জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে গতকাল ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হই। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে হত্যার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

এই মর্মান্তিক ঘটনা হাজীগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।