এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৪ জন, পাশের হার ৬৭.৮৬

হাজীগঞ্জে এইচএসসিতে ডিগ্রি কলেজই সেরা, মডেল সরকারি কলেজের রেজাল্টে হতাশা

ছবি-নতুনেরকথা।

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জে ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৯৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১ হাজার ৯৮৬ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৯৭০ জন। এর মধ্যে এ প্লাস (জিপিএ-৫) পেয়েছে ১৩৪ জন, এ গ্রেড ৮৮২ জন, এ মাইনাস ৫২৬ জন, বি গ্রেড ২৮৩ জন, সি গ্রেড ১৪৮ জন ও ডি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৬৭.৮৬

এর মধ্যে উপজেলায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ৬১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৯৩ জন। পাশের হার ৭০.৯৩ শতাংশ। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ৩৩৮ জন, এ মাইনাস ৯৯ জন, বি গ্রেড ৬৫ জন ও সি গ্রেড ৩০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৪৩ জন শিক্ষার্থী।

৫৬ জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৭৯ জন। পাশের হার ৬৬.৪৪ শতাংশ। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ৩৫৬ জন, এ মাইনাস ২৬১ জন, বি গ্রেড ৮০ জন, সি গ্রেড ২৫ জন ও ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯২ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফলে চমক দেখিয়েছে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা জনতা কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৩ জন। পাশের হার ৯২.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ৩৬ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ১৯ জন, সি গ্রেড ১৮ ও ডি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।

আর প্রতিবছরের মতো এবারও ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৪৪.১২ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৯ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১৩ জন, সি গ্রেড ৭ জন ও ডি গ্রেড ৮ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫৬ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়া হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯৭ জন। পাশের হার ৫৫.৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড ১৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ৩০ জন, সি গ্রেড ১৩ জন ও ডি গ্রেড ১ জনএবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭৮ জন শিক্ষার্থী।

নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৮৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৫ জন। পাশের হার ৫৭.৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপি-৫ পেয়েছে ৬ জন, এ গ্রেড ৩৩ জন, এ মাইনাস ২৮ জন, বি গ্রেড ১৬ জন ও সি গ্রেড ২২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭৮ জন শিক্ষার্থী।

দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে ১২৫ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯২ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৭৩.৬০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, এ গ্রেড ৩৩ জন, এ মাইনাস ১৫ জন, বি গ্রেড ১৯ জন ও সি গ্রেড ১৭ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।

ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২৯ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৬৬.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ৩৩ জন ও সি গ্রেড ১৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী।

হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন থেকে ৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে মাত্র ৩৩ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৬৮.৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১০ জন ও বি গ্রেড ১১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন শিক্ষার্থী।

সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৪ জন, পাশের হার ৬৭.৮৬

হাজীগঞ্জে এইচএসসিতে ডিগ্রি কলেজই সেরা, মডেল সরকারি কলেজের রেজাল্টে হতাশা

আপডেট: ১০:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জে ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৯৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১ হাজার ৯৮৬ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৯৭০ জন। এর মধ্যে এ প্লাস (জিপিএ-৫) পেয়েছে ১৩৪ জন, এ গ্রেড ৮৮২ জন, এ মাইনাস ৫২৬ জন, বি গ্রেড ২৮৩ জন, সি গ্রেড ১৪৮ জন ও ডি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৬৭.৮৬

এর মধ্যে উপজেলায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ৬১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৯৩ জন। পাশের হার ৭০.৯৩ শতাংশ। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ৩৩৮ জন, এ মাইনাস ৯৯ জন, বি গ্রেড ৬৫ জন ও সি গ্রেড ৩০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৪৩ জন শিক্ষার্থী।

৫৬ জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৭৯ জন। পাশের হার ৬৬.৪৪ শতাংশ। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ৩৫৬ জন, এ মাইনাস ২৬১ জন, বি গ্রেড ৮০ জন, সি গ্রেড ২৫ জন ও ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯২ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফলে চমক দেখিয়েছে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা জনতা কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১৩ জন। পাশের হার ৯২.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ৩৬ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ১৯ জন, সি গ্রেড ১৮ ও ডি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।

আর প্রতিবছরের মতো এবারও ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৪৪.১২ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৯ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১৩ জন, সি গ্রেড ৭ জন ও ডি গ্রেড ৮ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫৬ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়া হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯৭ জন। পাশের হার ৫৫.৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড ১৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ৩০ জন, সি গ্রেড ১৩ জন ও ডি গ্রেড ১ জনএবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭৮ জন শিক্ষার্থী।

নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৮৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৫ জন। পাশের হার ৫৭.৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপি-৫ পেয়েছে ৬ জন, এ গ্রেড ৩৩ জন, এ মাইনাস ২৮ জন, বি গ্রেড ১৬ জন ও সি গ্রেড ২২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭৮ জন শিক্ষার্থী।

দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে ১২৫ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯২ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৭৩.৬০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, এ গ্রেড ৩৩ জন, এ মাইনাস ১৫ জন, বি গ্রেড ১৯ জন ও সি গ্রেড ১৭ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।

ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২৯ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৬৬.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ৩৩ জন ও সি গ্রেড ১৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী।

হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন থেকে ৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে মাত্র ৩৩ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৬৮.৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১০ জন ও বি গ্রেড ১১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন শিক্ষার্থী।