হাজীগঞ্জে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা, প্রতিপক্ষের হামলায় মাও. আবু সুফিয়ানসহ আহত-৪

  • আপডেট: ০৩:১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০১৯
  • ৯৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাজীগঞ্জে আদালতের রায়কে অমান্য করে মসজিদে গাউছুল আজম জিলানী নামের একটি মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি এবং বিবাদীদের অর্তকিত হামলায় মসজিদের মোতওয়াল্লী ও বদরপুর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য শায়েখ মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরীরসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভাধীন বদরপুর (টোরাগড়) দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
গুরুতর আহত মাও. আবু সুফিয়ান খাঁনকে (৫৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় রেপার করা হয়েছে। অপর গুরুতর আহত নির্মাণ কাজের রাজমিস্ত্রি শাহিদুর রহমান (২৭), এম.এ.এস কাদেরীয়া চিশতীয়া হোসাইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের সাবেক ইমাম আ. সাত্তার মৃধা (৬০) এবং মাদরাসার ছাত্র দিদার হোসেন (১৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাও. আবু সুফিয়ান খাঁনের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ।
জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করায় মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরী ওই এলাকার শাহিনুর (শাহিন) ও সিরাজুল ইসলামসহ ১৭ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ হাজীগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানী মামলা (নং- ১১৭/২০১৯) করেন। গত ১৫ জুলাই সকল বিবাদীদের বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে মঞ্জুর এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের নালিশী ভূমি হতে বে-দখল বারিত করা মর্মে একটি আদেশ জারি করে আদালত।
উল্লেখিত আদেশ জারির পর গত ২৮ জুলাই পূণরায় মসজিদ নির্মান কাজ শুরু করা হলে বিবাদীরা বাধা প্রদান করেন। এরপর গত ৩০ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন মাও. আবু সুফিয়ান। আবেদনের পর পহেলা আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারো বাধা প্রদান করেন বিবাদীরা। বিষয়টি থানায় অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ চলে আসার পর বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনসহ অন্য বিবাদীরা মাও. আবু সুফিয়ানসহ রাজমিস্ত্রি এবং মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে মাও. আবু সুফিয়ানসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরী বলেন, আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাদীরা নিষেধাজ্ঞা ভূমিতে হামলা চালায় এবং মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি জানান। এ দিকে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

হাজীগঞ্জে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা, প্রতিপক্ষের হামলায় মাও. আবু সুফিয়ানসহ আহত-৪

আপডেট: ০৩:১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাজীগঞ্জে আদালতের রায়কে অমান্য করে মসজিদে গাউছুল আজম জিলানী নামের একটি মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি এবং বিবাদীদের অর্তকিত হামলায় মসজিদের মোতওয়াল্লী ও বদরপুর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য শায়েখ মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরীরসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভাধীন বদরপুর (টোরাগড়) দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
গুরুতর আহত মাও. আবু সুফিয়ান খাঁনকে (৫৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় রেপার করা হয়েছে। অপর গুরুতর আহত নির্মাণ কাজের রাজমিস্ত্রি শাহিদুর রহমান (২৭), এম.এ.এস কাদেরীয়া চিশতীয়া হোসাইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের সাবেক ইমাম আ. সাত্তার মৃধা (৬০) এবং মাদরাসার ছাত্র দিদার হোসেন (১৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাও. আবু সুফিয়ান খাঁনের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ।
জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করায় মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরী ওই এলাকার শাহিনুর (শাহিন) ও সিরাজুল ইসলামসহ ১৭ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ হাজীগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানী মামলা (নং- ১১৭/২০১৯) করেন। গত ১৫ জুলাই সকল বিবাদীদের বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে মঞ্জুর এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের নালিশী ভূমি হতে বে-দখল বারিত করা মর্মে একটি আদেশ জারি করে আদালত।
উল্লেখিত আদেশ জারির পর গত ২৮ জুলাই পূণরায় মসজিদ নির্মান কাজ শুরু করা হলে বিবাদীরা বাধা প্রদান করেন। এরপর গত ৩০ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন মাও. আবু সুফিয়ান। আবেদনের পর পহেলা আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারো বাধা প্রদান করেন বিবাদীরা। বিষয়টি থানায় অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ চলে আসার পর বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনসহ অন্য বিবাদীরা মাও. আবু সুফিয়ানসহ রাজমিস্ত্রি এবং মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে মাও. আবু সুফিয়ানসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আবেদী আল কাদেরী বলেন, আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাদীরা নিষেধাজ্ঞা ভূমিতে হামলা চালায় এবং মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি জানান। এ দিকে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।