হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন খাবার হোটেল, হলুদ মরিচের মিল ও দোকানে অভিযান চালিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্রগ্রাম কার্যালয়।
মঙ্গলবার দুপরে চট্রগ্রাম বিভাগীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরী নিরাপদ খাদ্যের ল্যাব ইনচার্জ মো. মাইনুল হোসেনের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করা হয়।
এ সময় উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. শামসুল ইসলাম রমিজ ও জেলা অফিসের স্যাম্পল কালেক্টর মো. আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খাওয়ার উপযোগী কিনা মান যাচাইয়ে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরিকৃত খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চট্রগ্রাম কার্যালয়ের ল্যাব ইনচার্জ।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ বাজারের হোটেল শেরাটন, আল মদিনা হোটেল, খাওয়া দাওয়া, প্রিন্স হোটেল ও গাউছিয়া হাইওয়ে চাইনিজে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় একটি হোটেলে ডিটারজেন্ট পাউডার ও ইউরিয়া সার দিয়ে তৈরীকৃত তরল দুধ ও আরেকটি হোটেলে কয়েক দিনের পুরোনো পোড়া তেল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও একটি হোটেলের স্টাফদের হাতে মারত্মক জীবানু পাওয়া যায়। এ সময় সময় খাদ্য অধিদপ্তরের ল্যাবে তা পরীক্ষা করা হয়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. শামসুল ইসলাম রমিজ বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমাদের অভিযান চলমান। অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি খাবার হোটেলকে সতর্ক করা হয়েছে। ২টি হোটেলের পণ্য পরীক্ষা করে অনিয়ম ধরা পড়ে। আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেলে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ওই ২টি হোটেলের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এ ছাড়াও হলুদ ও মরিচের দোকান ও মিলে অভিযান চালিয়ে কোন অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
এ সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও ভালো মানের খাবার বিক্রয় করায় গাউছিয়া হাইওয়ে এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও প্রিন্স হোটেলকে ধন্যবাদ জানান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।