হাজীগঞ্জে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কিবরিয়া, পলাতক রাব্বানি

  • আপডেট: ০৪:২১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৯১

গোলাম কিবরিয়া। ছবি-নতুনেরকথা।

হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মিজানুর রহমানের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় গোলাম কিবরিয়াকে ২ বছর ও তার ভাই গোলাম রাব্বানীকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং তাদের বাবা মহিউদ্দিন দুলালকে খালাস দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এসময় বিচারকের নির্দেশনায় আদালতে উপস্থিত গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে ২০২০ সালে গোলাম কিবরিয়া, গোলাম রাব্বানি ও মহিউদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (৩২৬/২০) দায়ের করেন মিজানুর রহমান। ওই সময়ে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। পরবর্তীতে পুলিশ চার্জশীট দিলে আদালত শুনানী ও স্বাক্ষীগ্রহণ শেষে কিবরিয়াকে ২ বছর ও রাব্বানীকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং মহিউদ্দিন দুলালকে খালাস দেন বিচারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার বাদী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে কিবরিয়া, রাব্বানি ও দুলাল আমার উপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে। পরে আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই এবং থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় রায় হয় এবং বিচারক দুইজনকে সাজা, একজনকে খালাস দেন। এর মধ্যে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোলাম রাব্বানি পলাতক রয়েছেন।

এ দিকে সাজার ঘটনায় আসামিরা আপিল করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, রোববার বিকালে গোলাম কিবরিয়া ও তার বাবা মহিউদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। প্রতিবন্ধী নুরু হত্যায় জড়িত মূল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে এন্নাতলি গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব ঈদগাহ মাঠের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে ২৮ মে সকালে প্রতিবন্ধী নুরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ব্যানারে মহিউদ্দিন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়াকে খুনি উল্লেখ করে তদন্তপূর্বক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরুর পরিবার ও নুরু হত্যা মামলার আসামি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ এলাকার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রতিবন্ধী নুরুর চাচা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ পাটওয়ারী, এলাকাবাসীর পক্ষে সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হুমায়ুন কবির, ইয়াছিন পাটওয়ারী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নূরে আলম ফরাজী।

বক্তারা বলেন, শান্ত এন্নাতলি, বড়কুল ও রায়চোঁ গ্রামকে প্রতিবন্ধী নুরু ও পরবর্তীতে জোড়া খুনের মাধ্যমে অশান্ত করে তোলা হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নিরিহ মানুষকে আসামি করে কিংবা আসামি করার ভয় দেখিয়ে হয়রানি ও টাকার বানিজ্য করা হয়।

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা আরও বলেন, মহিউদ্দিন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়া এই এলাকার নিরিহ লোকজনকে আসামি করেছে এবং আসামি করার ভয় দেখিয়ে বানিজ্য করেছে। আমরা চাই, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যারা হয়রানি শিকার হয়েছে তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

হাজীগঞ্জে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কিবরিয়া, পলাতক রাব্বানি

আপডেট: ০৪:২১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মিজানুর রহমানের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় গোলাম কিবরিয়াকে ২ বছর ও তার ভাই গোলাম রাব্বানীকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং তাদের বাবা মহিউদ্দিন দুলালকে খালাস দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এসময় বিচারকের নির্দেশনায় আদালতে উপস্থিত গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে ২০২০ সালে গোলাম কিবরিয়া, গোলাম রাব্বানি ও মহিউদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (৩২৬/২০) দায়ের করেন মিজানুর রহমান। ওই সময়ে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। পরবর্তীতে পুলিশ চার্জশীট দিলে আদালত শুনানী ও স্বাক্ষীগ্রহণ শেষে কিবরিয়াকে ২ বছর ও রাব্বানীকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং মহিউদ্দিন দুলালকে খালাস দেন বিচারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার বাদী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে কিবরিয়া, রাব্বানি ও দুলাল আমার উপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে। পরে আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই এবং থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় রায় হয় এবং বিচারক দুইজনকে সাজা, একজনকে খালাস দেন। এর মধ্যে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোলাম রাব্বানি পলাতক রয়েছেন।

এ দিকে সাজার ঘটনায় আসামিরা আপিল করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, রোববার বিকালে গোলাম কিবরিয়া ও তার বাবা মহিউদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। প্রতিবন্ধী নুরু হত্যায় জড়িত মূল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে এন্নাতলি গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব ঈদগাহ মাঠের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে ২৮ মে সকালে প্রতিবন্ধী নুরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ব্যানারে মহিউদ্দিন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়াকে খুনি উল্লেখ করে তদন্তপূর্বক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরুর পরিবার ও নুরু হত্যা মামলার আসামি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ এলাকার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রতিবন্ধী নুরুর চাচা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ পাটওয়ারী, এলাকাবাসীর পক্ষে সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হুমায়ুন কবির, ইয়াছিন পাটওয়ারী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নূরে আলম ফরাজী।

বক্তারা বলেন, শান্ত এন্নাতলি, বড়কুল ও রায়চোঁ গ্রামকে প্রতিবন্ধী নুরু ও পরবর্তীতে জোড়া খুনের মাধ্যমে অশান্ত করে তোলা হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নিরিহ মানুষকে আসামি করে কিংবা আসামি করার ভয় দেখিয়ে হয়রানি ও টাকার বানিজ্য করা হয়।

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা আরও বলেন, মহিউদ্দিন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়া এই এলাকার নিরিহ লোকজনকে আসামি করেছে এবং আসামি করার ভয় দেখিয়ে বানিজ্য করেছে। আমরা চাই, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যারা হয়রানি শিকার হয়েছে তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক।