ভাংচুর ও পুড়ে যাওয়া হাজীগঞ্জ পৌরসভা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম

  • আপডেট: ০৯:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৮

ছবি-নতুনেরকথা।

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা।

এতে ক্ষতি হয়েছে কয়েকটি কোটি টাকার সম্পদ, পুড়ে গেছে প্রয়োজনীয় নাগরিক ও প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সেবার নথিপত্র এবং বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং এর চিহ্ন মুছে ফেলতে সময় লাগবে।

তবে নাগরিক সেবার লক্ষ্যে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করতে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান উপস্থিতিতে এই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় তিনি ভাংচুরকৃত ও পুড়ে যাওয়া গাড়ি, বিভিন্ন মেশিনারি এবং নথি ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে ও বাহিরে ঘুরে দেখেন।

এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ রোকেয়া বেগম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার ঝুমু ও কাউন্সিলর হাজী কবির হোসেন কাজী, সচিব মুহাম্মদ নূর আজম শরীফ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ইদ্রিস মিয়া, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পয়নিস্কাশন) মো. মাহবুবর রশিদ, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আলমগীর, বাজার পরিদর্শক খাজা সাফিউল বাসার রুজমন ও উচ্চমান সহকারী মো. আব্দুল লতিফসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকালে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে আবারও পৌরসভা কার্যালয়ের একাধিক কক্ষসহ দুইটি গাড়িতে আগুন এবং বেশ কয়েকটি গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল এবং জিসিনপত্র ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও পৌরসভার একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এতে পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি পৌরসভার নাগরিক সেবার অন্যতম বিভাগ পৌর ডিজিটাল সেন্টার, বিদ্যুৎ, পানি ও পয়নিস্কাশন এবং প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের প্রয়োজনী কাগজপত্র, ফটোকটিসহ অন্যান্য মেশিন ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। এর পর থেকে নতুন করে দেশ গঠনে লেগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শাহরাস্তিতে প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি

ভাংচুর ও পুড়ে যাওয়া হাজীগঞ্জ পৌরসভা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম

আপডেট: ০৯:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা।

এতে ক্ষতি হয়েছে কয়েকটি কোটি টাকার সম্পদ, পুড়ে গেছে প্রয়োজনীয় নাগরিক ও প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সেবার নথিপত্র এবং বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং এর চিহ্ন মুছে ফেলতে সময় লাগবে।

তবে নাগরিক সেবার লক্ষ্যে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করতে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান উপস্থিতিতে এই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় তিনি ভাংচুরকৃত ও পুড়ে যাওয়া গাড়ি, বিভিন্ন মেশিনারি এবং নথি ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে ও বাহিরে ঘুরে দেখেন।

এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ রোকেয়া বেগম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার ঝুমু ও কাউন্সিলর হাজী কবির হোসেন কাজী, সচিব মুহাম্মদ নূর আজম শরীফ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ইদ্রিস মিয়া, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পয়নিস্কাশন) মো. মাহবুবর রশিদ, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আলমগীর, বাজার পরিদর্শক খাজা সাফিউল বাসার রুজমন ও উচ্চমান সহকারী মো. আব্দুল লতিফসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকালে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে আবারও পৌরসভা কার্যালয়ের একাধিক কক্ষসহ দুইটি গাড়িতে আগুন এবং বেশ কয়েকটি গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল এবং জিসিনপত্র ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও পৌরসভার একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এতে পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি পৌরসভার নাগরিক সেবার অন্যতম বিভাগ পৌর ডিজিটাল সেন্টার, বিদ্যুৎ, পানি ও পয়নিস্কাশন এবং প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের প্রয়োজনী কাগজপত্র, ফটোকটিসহ অন্যান্য মেশিন ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। এর পর থেকে নতুন করে দেশ গঠনে লেগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।