শুধু বাংলাদেশ নয় এবার বাংলাদেশের কাতারে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে একমাত্র পশ্চিমা দেশ হিসাবে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বজুড়ে গত এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ করেছে এমন গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি)। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
এসিএলইডি হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও তালিকা প্রণয়ন বিষয়ক অলাভজনক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের এই তালিকায় আসার অন্যতম কারণ হিসাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিস্তার লাভকে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম আর যুক্তরাষ্ট্রকে রাখা হয়েছে সবার নিচে। যুক্তরাষ্ট্রকে রাখা হয়েছে অশান্ত পর্যায়ের দেশের কাতারে।
এসিএলইডি ২০২২ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ২৪০টির বেশি দেশ এবং অঞ্চল থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে। এ সময়ের মধ্যে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
বেশিরভাগ দেশই কমপক্ষে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে এই ৫০টি দেশকে উচ্চ মাত্রার সংঘাতের কারণে ‘চরম’, ‘উচ্চ’ ও ‘অশান্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে মিয়ানমারে। দেশটি ‘চরম’ পর্যায়ভুক্ত হয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপরই রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো। লিবিয়া, ঘানা, চাদসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১৯টি দেশও আছে এ তালিকায়।
এসিএলইডির যোগাযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র বা অগণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়।