• ঢাকা
  • বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কয়টি দেশে আছে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

বাংলাদেশে ভিসানীতি নিতি শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে— নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, হাইতি, সুদান ও নিকারাগুয়া।

নাইজেরিয়া

সম্প্রতি সাধারণ নির্বাচন ঘিরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে নাইজেরিয়ায় গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী যে কোনো ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ার সাধারণ নির্বাচনের আগেই এ ঘোষণা দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের অধিকার দমনের দায়ে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আরও বেশ কয়েক সন্দেভাজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের মাসে তালেবান সরকার আফগান নারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

হাইতি

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির চেম্বার অব ডেপুটিসের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্যারি বোডোর ওপর ভিসা বিধিনিষেধ ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

হাইতির জনগণের প্রতি সমর্থন এবং দেশটির ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই গত ৫ এপ্রিল এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র ও অর্থ দপ্তর।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ভিসা বিধিনিষেধের কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তার সব সম্পদ জব্দ করা হয়।

সুদান

উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে কয়েক মাস ধরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে লড়াই চলছে।

অব্যাহত এই সহিংসতার কারণে গত ১ জুন দেশটির ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন।

তখন এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সুদানের সংঘাতে অবদান রাখছে কিংবা এ থেকে লাভবান হচ্ছে, এমন চার প্রতিষ্ঠানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া পৃথক আরেক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, সুদানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় দেশটির বেশ কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ তালিকায় রয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনী, আরএসএফ, সাবেক নেতা ওমর আল-বশির আমলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

এ ছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরএসএফের কমান্ডার আব্দুল রহমান জুমার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিকারাগুয়া

গত ২১ আগস্ট নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

জনপ্রিয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে ও বিশিষ্ট একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজককে কারাগারে পাঠানোর ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনে তাদের ভূমিকার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!