চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর বড়কুল গ্রামে চাঞ্চল্যকর প্রৌঢ় তুফান দম্পতি হত্যার ঘটনায় জড়িত সোহাগ নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব-১০।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সোহাগকে আটক করে র্যাব। আটক মো. সোহাগ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের মুন্সী বাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে সোহাগকে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত এন্নাতলি গ্রামের জামাল ডাক্তারের বাড়ীর আবু জাফরের ছেলে বড়কুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মাসুদ কামাল, উত্তর বড়কুল গ্রামের মিজান ওরফে গোলাম আযমকে আটক করে।
এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মরহুম আমির হোসেনের চেয়ারম্যানের ছেলে বড়কুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শাহআলম বাবুলকেও আটক করেছে।
এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১৪জন আটক হলো। এর মধ্যে সর্বশেষ আটক ৩জন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বিকার করেছে। আটককৃত ৩জনের তথ্যমতে পুলিশ তুফানের ঘর থেকে চুরি করে নেয়া একটি পিতলের মগ উদ্ধার করেছে। বাকি পিতলের তৈজসপত্র দূর্বৃত্তরা বিক্রয় করে দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনায় জড়িত ৩জন বড়কুল চেয়ারম্যান মার্কেটে ডাক্তার পিন্টুর দোকানে পিন্টুসহ এক সাথে মদ পান করে। ঝড়তুফান উপেক্ষা করে তারা তুফানের বাড়ীতে গিয়ে জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ডুকে তুফানের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তাদেরকে চিনে ফেলায় তুফান ও তার স্ত্রীকে হত্যা করে পিতলের মালামাল চুরি নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় তুফান দম্পতির বড় মেয়ে বাদী ৮ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় র্যাব ও পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব প্রথমে সোহাগকে আটক করে। সোহাগের তথ্য অনুযায়ী হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আরো ৩জনকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত মুল পরিকল্পনাকারিসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের তথ্য যাছাইবাছাই করা হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।