যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায পাকিস্তানের কাপ্তান ইমরান খানকে দমিয়ে রাখতে সবরকম পদক্ষেপই নিয়েছে স্টাবিলিস্ট (সেনাবাহিনী)। তবে কোনভাবেই তাকে দমাতে না পেরে অবশে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
এর পর থেকে একের পর এক মামলা দেয়া হয়েছে। বার বার হেনস্তা করা হয়েছে। সর্বশেষ তোষাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে এক লাখ রুপি জরিমানাসহ তিন বছরের জেল দিয়েছেন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার এর আদালত।
আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ ঠেকাতে এটা করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, অভিযুক্ত হওয়ার ফলে সরকারি পদের জন্য অযোগ্য হতে পারেন ইমরান খান। এমনও হতে পারে তিনি যাবজ্জীবনের জন্য অযোগ্য হতে পারেন। একে প্রশ্নবিদ্ধ রায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপরিচিত সাংবাদিক হামিদ মীর। তিনি বলেছেন, এ রায় অপ্রত্যাশিত ছিল না। সবাই জানতেন এমনই রায় দেয়া হবে।
রাজনীতিতে জোরালো ভূমিকা আছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর। বেশ কয়েকবার তারা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। কখনো পর্দার আড়ালে বসে খেলেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আগাম নির্বাচন দাবি করে আসছেন ইমরান খান।
ওদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সামান্য সময়ের মধ্যেই তাকে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে জেলে নেয়া হয়েছে। বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার তার বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়কে চ্যালেঞ্জ চালিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন পিটিআই দলীয় আইনজীবীরা। এই রায়কে বাতিল করার আবেদন জানানোর কথা তাদের।
এ দিকে রায় ঘোষণার পর থেকে বিচারক বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার তাকে ওএসডি করা হয়েছে। বদলী করা হয়েছে আদালত কার্যক্রমহীন একটি বিভাগে।
কিন্তু কেন তাকে এভাবে সরিয়ে আনা হলো, তা নিয়ে কৌতুহল চারদিকে। এর জবাবে বলা হয়েছে যে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়ার পর থেকে অব্যাহতভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল বিচারক দিলাওয়ার ও তার পরিবারকে। এর প্রেক্ষিতে তিনি তাকে জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স জি-১১ অথবা ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিশেষ কোনো কোর্টে স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন।