ইসরাইলে হামলায় সক্ষম নতুন ড্রোন বানালো ইরান

  • আপডেট: ০৮:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩২

ছবি-নতুনেরকথা।

ইসরাইলে হামলা করতে সক্ষম এমন ড্রোন তৈরি করেছে ইরান। ড্রোনটি ৭ হাজার মিটার উচ্চতায় টানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে পারে বলে দাবি করেছে তেহরান। মঙ্গলবার ছিল ইরানের প্রতিরক্ষাশিল্প দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকস বিভাগের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানে নতুন মুহাজির-১০ নামের ড্রোনটি প্রকাশ্যে আনা হয়।

অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির সামরিক বাহিনীর ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মোহাজির প্রথম সংস্করণটি ১৯৮০-এর দশকে ইরাকের বিরুদ্ধে আট বছরের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল। ৩০০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে মোহাজির-এর সর্বশেষ চমকটি। একসঙ্গে ৪৫০ লিটার জ্বালানি ধরে এটির ট্যাঙ্কে।

ইরানের এই ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপারের আদলে বানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, তাতে ড্রোনটি অজ্ঞাত একটি বিমানঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়ে ভিডিও ধারণ করেছে।

বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বোমা ও রাডার-প্রতিরোধী সরঞ্জাম বহন করতে পারে মোহাজের-১০। সেই সঙ্গে এটি নজরদারিতে সক্ষম।

ইরনা জানিয়েছে, মুহাজির-১০ এর ডিজাইন ইরানি গবেষকদের নিজস্ব মেধা ও পরিকল্পনায় করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ চালকবিহীন বিমান নির্মাণ বা ইউএভি শক্তিগুলির একটি হিসাবে বিবেচিত ইরান।

ইসলামি বিপ্লবের পর প্রথম মাস থেকেই ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা তীব্র হওয়া সত্ত্বেও ইরান থেমে থাকে নি।

কাসেদ, শাহেদ, সি-মোরগ, মুহাজির ইত্যাদি ড্রোন ইরান তৈরি করেছে। এর বাইরেও কাওসার, অজারাখশ, সায়েকে ও ইয়াসিন এয়ারক্রাফট তৈরি ও উৎপাদন করেছে ইরান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

ইসরাইলে হামলায় সক্ষম নতুন ড্রোন বানালো ইরান

আপডেট: ০৮:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

ইসরাইলে হামলা করতে সক্ষম এমন ড্রোন তৈরি করেছে ইরান। ড্রোনটি ৭ হাজার মিটার উচ্চতায় টানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে পারে বলে দাবি করেছে তেহরান। মঙ্গলবার ছিল ইরানের প্রতিরক্ষাশিল্প দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকস বিভাগের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানে নতুন মুহাজির-১০ নামের ড্রোনটি প্রকাশ্যে আনা হয়।

অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির সামরিক বাহিনীর ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মোহাজির প্রথম সংস্করণটি ১৯৮০-এর দশকে ইরাকের বিরুদ্ধে আট বছরের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল। ৩০০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে মোহাজির-এর সর্বশেষ চমকটি। একসঙ্গে ৪৫০ লিটার জ্বালানি ধরে এটির ট্যাঙ্কে।

ইরানের এই ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপারের আদলে বানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, তাতে ড্রোনটি অজ্ঞাত একটি বিমানঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়ে ভিডিও ধারণ করেছে।

বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বোমা ও রাডার-প্রতিরোধী সরঞ্জাম বহন করতে পারে মোহাজের-১০। সেই সঙ্গে এটি নজরদারিতে সক্ষম।

ইরনা জানিয়েছে, মুহাজির-১০ এর ডিজাইন ইরানি গবেষকদের নিজস্ব মেধা ও পরিকল্পনায় করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ চালকবিহীন বিমান নির্মাণ বা ইউএভি শক্তিগুলির একটি হিসাবে বিবেচিত ইরান।

ইসলামি বিপ্লবের পর প্রথম মাস থেকেই ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা তীব্র হওয়া সত্ত্বেও ইরান থেমে থাকে নি।

কাসেদ, শাহেদ, সি-মোরগ, মুহাজির ইত্যাদি ড্রোন ইরান তৈরি করেছে। এর বাইরেও কাওসার, অজারাখশ, সায়েকে ও ইয়াসিন এয়ারক্রাফট তৈরি ও উৎপাদন করেছে ইরান।