ডিমের হালি ৫৬ টাকা

  • আপডেট: ০৬:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
  • ৪৭

একটি ডিমের দাম ১৪ টাকা। আবার কোথাও কোথাও এ ডিম বিক্রয় হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। পাকিস্তানি ডিম বিক্রয় হচ্ছে ২০/২২ টাকা। ডিমের বাজারে যেনো এ এক অরাজকতা। নিত্যপণ্য ডিমের বাজারে আগুন লেগেছে। হুহু করে বাড়ছে ডিমের দাম। সপ্তাহেও একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়, অর্থাৎ হালি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

ডিমের এ উধর্বমূখী দাম দেখা গেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেও  কয়েকটি বাজারে শুক্রবার খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

বাড়ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও। আর মরিচ, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী।

হাজীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকা হয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৪০ টাকা।

ইলিশের ভরা মৌসুমেও কমছে না মাছের দাম। বাজারে ৬০০ বা ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রুই-কাতলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

হাজীগঞ্জের কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি বা কক মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি বাজারভেদে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ১২০০ টাকা।

প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা।

এদিকে গরিব ও মধ্যবিত্তের আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকলে ডিম দিয়ে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতো। সেই ডিম এখন একটি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোয় গোটা জাতি আনন্দিত-মির্জা ফখরুল

ডিমের হালি ৫৬ টাকা

আপডেট: ০৬:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

একটি ডিমের দাম ১৪ টাকা। আবার কোথাও কোথাও এ ডিম বিক্রয় হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। পাকিস্তানি ডিম বিক্রয় হচ্ছে ২০/২২ টাকা। ডিমের বাজারে যেনো এ এক অরাজকতা। নিত্যপণ্য ডিমের বাজারে আগুন লেগেছে। হুহু করে বাড়ছে ডিমের দাম। সপ্তাহেও একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়, অর্থাৎ হালি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

ডিমের এ উধর্বমূখী দাম দেখা গেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেও  কয়েকটি বাজারে শুক্রবার খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

বাড়ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও। আর মরিচ, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী।

হাজীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকা হয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৪০ টাকা।

ইলিশের ভরা মৌসুমেও কমছে না মাছের দাম। বাজারে ৬০০ বা ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রুই-কাতলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

হাজীগঞ্জের কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি বা কক মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি বাজারভেদে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ১২০০ টাকা।

প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা।

এদিকে গরিব ও মধ্যবিত্তের আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকলে ডিম দিয়ে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতো। সেই ডিম এখন একটি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা।