মৃত্যুর পূর্বে প্রেমিকার জন্য ১১৮২ কোটি টাকা উইল করেগেছেন প্রেমিক। ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি তার প্রেমিকার জন্য এ উইল করে যান।
নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন তিনি। কয়েক দশক ধরে ইতালিতে আধিপত্য বিস্তার করে গেছেন। তিনি একদিকে যেমন বিলিয়নার মিডিয়া মুঘল, তেমনি একজন ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত ১২ জুন ৮৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। রেখে গেছেন কমপক্ষে ৬০০ কোটি ইউরোর সম্পদ।
মৃত্যুর আগে ৩৩ বছর বয়সি প্রেমিকাকে ১০ কোটি ইউরো (১১৮২ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রায়) উইল করে গেছেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। তার ওই প্রেমিকার নাম মারতা ফ্যাসিনা। তিনি বারলুসকোনির দল ফোরজা ইতালিয়ার ডেপুটি। ১৯৯৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন বারলুসকোনি।
২০২০ সালে বারলুসকোনির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মারতা। আইনগতভাবে মারতাকে বিয়ে করেননি বারলুসকোনি। তবু তিনি তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য হন ৩৩ বছর বয়সি মারতা ফ্যাসিনা।
মারতাকে দেওয়ার পর যে অর্থ থাকবে তা এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করবেন তার বড় দুই সন্তান মেরিনা এবং পিয়ের সিলভিও। তারা এরই মধ্যে ব্যবসায় নির্বাহী দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ফিনইনভেস্ট নামের পারিবারিক হোল্ডিংয়ে তাদের থাকবে শতকরা ৫৩ ভাগ শেয়ার।
বারলুসকোনি শুধু যে তার প্রেমিকাকে অর্থ দিয়ে গেছেন তাই নয়। একই সঙ্গে তিনি নিজের ভাই পাওলোকে দিয়ে গেছেন ১০ কোটি ইউরো। সাবেক সিনেটর ও ফোজিয়া ইতালিয়া পার্টির সদস্য মাসেলো ডেলউত্রিকে দিয়ে গেছেন ৩ কোটি ইউরো।
তিনি যে উইল করে গেছেন তা মঙ্গলবার তার ৫ সন্তান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে পড়ে শোনানো হবে। উইলে তিনি বলেছেন, আমার সব শেয়ার আমার সন্তান মেরিনা ও পিয়ের সিলভিওকে সমান ভাগে ভাগ করে দিলাম। বাকি অর্থ আমার ৫ সন্তান মেরিনা, পিয়ের সিলভিও, বারবারা, ইলিওনোরা এবং লুইগির মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিলাম।
আয়কর প্রতারণায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ৬ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হন সিলভিও বারলুসকোনি। তার আগে তিনি টানা তিন দফা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক সময় তিনি নিজেকে যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে তুলনা করেন।
কিন্তু তাকে চারদিক থেকে অপবাদ জেঁকে ধরেছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ইতালিতে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী। ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়লেও তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকারের অংশীদার ছিলেন।