কি ঘটতে যাচ্ছে পলাতক ওয়াগনার প্রধানের ভাগ্যে, কোথায় আছে পুতিনের সাবেক বাবুচিংওয়াগনার সেনাপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। কাটছেনা ধোঁয়াশা। তবে এখনো ইউক্রেনের অজ্ঞাত স্থানে আছে এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ সে রাশিয়াতেও নেই বেলারুশেও যায়নি। তবে কোথয় আছে!
শান্তিচুক্তি পর দ্বন্দ্বের অবসান। কথা ছিল রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন ওয়াগনার সেনাপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ওয়াগনারের ২৫০০ সেনা ইতোমধ্যেই ফিরে গেছেন নিজেদের ফিল্ড ক্যাম্পে।
কিন্তু প্রিগোজিন কোথায়? বেলারুশেও যাননি। হদিস মিলছে না রাশিয়ায়ও। খোদ মস্কোতেই রীতমতো ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তার অবস্থান নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর রাশিয়ার মাটিতে টিকবে কি ওয়াগনার? সামনে কি-ই বা অপেক্ষা করছে ওয়াগনারদের ভাগ্যে?
সোমবার এ নিয়ে এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন।
সশস্ত্র বিদ্রোহের আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে কয়েক হাজার ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য অংশ নিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন সেনাবাহিনী হিসাবে ওয়াগনারের দিন শেষ হয়ে আসছে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনজুড়ে কয়েক বছর ধরে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ওয়াগনার গ্রুপের ছিল বিশাল দাপট। তবে বিদ্রোহ প্রকাশের পরপরই ওয়াগনার সেনা নিয়োগের বেশকিছু কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়াগনার বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলোও এখন ঠিকমতো কাজ করছে না। প্রিগোজিনের অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা ভকোনটাকটেও রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ দ্বারা অচল করা হয়েছে। রোস্তভ অন ডন শহর এবং মস্কোর মাঝামাঝি থাকা ভোরোনজের গভর্নর বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনী তার অঞ্চল ছেড়ে যাচ্ছে। তবে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ার নিয়মিত সামরিক বাহিনীতে ওয়াগনার একীভূত হবে কিনা।
ওয়াগনারের ‘ভবিষ্যৎ’ আফ্রিকায়ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আফ্রিকায় ওয়াগনার বাহিনীর রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। ওয়াগনারের আনুমানিক ৫০০০ সেনা রয়েছে আফ্রিকাজুড়ে। প্রিগোজিন আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও মালিক সরকরের সঙ্গে সামরিক সহায়তা চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়াগনার বাহিনী রাশিয়ার নিয়মিত সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হলে আফ্রিকার নিরাপত্তায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। এমনকি মহাদেশটিতে মস্কোর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকেও জটিল করে তুলতে পারে। বিবিসি।
বিদ্রোহের অবসানের পর প্রথমবার জনসম্মুখে প্রতিরক্ষামন্ত্রী: ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ অবসানের পর প্রথমবার জনসম্মুখে বের হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
সোমবার ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াইরত রুশ সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন মতে, ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহ অবসানের পর সোমবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে।
আরআইএর প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট যে, শোইগু এখনো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন ইউক্রেনে লড়াইরত রুশ সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে সামরিক ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় একটি হেলিকপ্টারে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রাশিয়া তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করার থাকলেও তদন্ত চলমান রয়েছে। বিশ্ব মিডিয়া বলছে ভ্লাদিমির পুতিন কখনো তার শত্রুদের ছাড়দেননা। যদি এ যাত্রায় ওয়াগনার সেনাপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেঁচে যায়। তাকে অবশ্যই পুতিনের হাতেই মরতে হবে। সেটা আজ না হউক কাল।