মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
নিরাপদ খাদ্য আইনে হাজীগঞ্জের ৩ জন ব্যবসায়ীকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড (জেল) দিয়েছেন চাঁদপুরের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন হাজীগঞ্জ বাজারে দুইজন ও বাকিলা বাজারের একজন ব্যবসায়ীকে এ সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের হাজী বিরিয়ানি হাউজের মালিক মো. সোহাগ শিকদার, চিটাগাং বেকারির মালিক মো. হোসেন খান ও বাকিলা বাজারের এস.এ স্টোরের মালিক মো. আবু ছায়েদ।
জানা গেছে, বিরিয়ানিতে পঁচা মাংস, মাংসের তরকারি ও পোঁড়া তেল ব্যবহার করায় হাজী বিরিয়ানি হাউজের মালিক, খাদ্যদ্রব্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও লাইসেন্স না থাকায় এস.এ স্টোরের মালিক ও তারিখ, উৎপাদনকৃত খাদ্যের প্যাকেট ও লেভেল না থাকা, নোংড়া পরিবেশ, খাদ্য কর্মীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকা এবং মিথ্যা তারিখ থাকায় চিটাগাং বেকারীর মালিকের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ (মামলা) দায়ের করেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. সামছুল ইসলাম।
আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাজী বিরিয়ানি হাউজের মালিক মো. সোহাগ শিকদারকে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ২৬ ও ৩৪ ধারায় এবং এস.এ স্টোরের মালিক মো. আবু ছায়েদকে ২৯ ও ৩৯ ধারায় এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। যা আপিল শর্তে অস্থায়ী জামিন যোগ্য। অপর দিকে চিটাগাং বেকারির মালিক মো. হোসেন খানকে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩২ (গ), ৩২ (ক), ৩৩ ও ৩৬ ধারায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। যা জামিন না দিয়ে জেলহাজতে প্রেরন।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর খাদ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ও লাইসেন্স না থাকায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ২৯ ও ৩৯ ধারায় হাজীগঞ্জের মেনাপুর গ্রামের ইকরাম স্টোরের মালিক মো. রবিউল আউয়াল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য থাকায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ২৯ ধারায় কৈয়ারপুল বাজারের শাহজাহান স্টোরের মালিক মো. এমরান গাজী ও হাজীগঞ্জ বাজারের শাবরীন স্টোরের মালিক মো. মাহবুব আলমকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। যা আপিল শর্তে অস্থায়ী জামিন যোগ্য।
কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. সামছুল ইসলাম।