হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আ. হকের পদত্যাগ

  • আপডেট: ০২:১৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪১

সদ্য পদত্যাগকারী হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল হক।

হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক সমিতির কার্যকরি পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহৃতি চেয়ে পদত্যাগ করেছেন আ. হক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি গত ৪ সেপ্টেম্বর সভাপতির কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে বিশ^স্ত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রধান শিক্ষকদের সাথে সমন্বয়হীতার অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দুইটি প্যানেল অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. হক এবং সহকারী শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন, হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাস।

ওই নির্বাচনে কার্যকরি পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক সমর্থিত প্যানেল থেকে। এরপর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নব-গঠিত কার্যকরি পরিষদ দায়িত্বভার গ্রহণ করে। অভিযোগ রয়েছে, কমিটির অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে সহকারী শিক্ষক প্যানেলের সদস্যরাই আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। এতে নির্বাচিত সাধারন সম্পাদকসহ প্রধান শিক্ষক প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, যে সব বিদ্যালয় থেকে কোন শিক কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন নি বা নির্বাচনে কেউ অংশ গ্রহণ করেন নি, ওইসব বিদ্যালয় থেকে একজন করে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা হয়। যার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট নাম প্রস্তাবের জন্য সমিতি থেকে চিঠি প্রেরণ করা হতো।

পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে একজন কো-অপ্ট সদস্যের নাম প্রস্তাব করে সমিতিতে পাঠাতেন এবং তাকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হতো। কিন্তু চলতি কার্যকরি পরিষদ এই নিয়ম না মেনে, পরিষদের সদস্যদের প্রস্তাব ও সমর্থনের ভিত্তিতে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা হয়। যা অনিয়ম ও অগঠনতান্তিক। এতে প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

অপর দিকে সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগ বাস্তবায়নে (পদত্যাগ কার্যকর) তড়িঘড়ি করে সভা আহবান এবং সমিতির ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের আলোচ্য সূচী রাখারও অভিযোগ রয়েছে। অথচ পদত্যাগ গ্রহণ করা বা না করা কিংবা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে, পরবর্তী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন না করাটাই বিধিসম্মত। কারণ, সম্পাদক ছাড়া কিভাবে ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, কার্যকরি পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য সহকারী শিক প্যানেল থেকে নির্বাচিত। যার ফলে বর্তমান পরিষদ, প্রধান শিক্ষকদের মূল্যায়ন করছেন না এবং কোন প্রধান শিক যেন সমিতির কার্যকরি পরিষদে না আসে, সেজন্যই প্রধান শিক্ষকদের না জানিয়ে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আ. হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে উল্লেখিত অভিযোগের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে তিনি বিস্তারিত বক্তব্য না দিয়ে পরে জানাবেন বলে জানান।

সভাপতি দীপক চন্দ্র দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনিও একজন প্রধান শিক্ষক। তাহলে তিনি বা তাঁর কার্যকরি পরিষদ কেন প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করবে? তিনি বলেন, এই সংগঠন সকল শিক্ষকের (প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক)। বর্তমান কার্যকরি পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি মতবিনিমিয় সভা করেছি। যদি প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হতো, তাহলে ওই সভা হতো না।

সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমি বলেছি, আপনি (আ. হক) নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। কেন পদত্যাগ করছেন? তখন তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এ পদত্যাগ। তারপরও আমি ও পরিষদের সদস্যরা তাঁকে বার বার অনুরোধ করেছি, তিনি যেন পদত্যাগ না করেন।

কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগের বিষয়ে সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ রয়েছে। কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগে প্রধান শিক্ষকদের অবহিত (চিঠি প্রদান) করা হলে, বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় না করে তিনি নিজেই কো-অপ্ট সদস্যের জন্য চলে আসতেন। তাই এ বছর সমিতির মাধ্যমেই কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকও রয়েছেন।
ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, গত সভার আলোচ্য সূচী ছিল, ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগপত্র দেওয়ার কারণে ওই সময়ে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগামি সভার আলোচ্য সূচীতে আবারো ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়টি রাখা হয়েছে। এ সময় সামনা-সামনি (মুখোমুখি) হলে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আরো তথ্য দিতে পারবেন বলে তিনি জানান।

এদিকে সাধারন সম্পাদক আ. হকের পদত্যাগ এবং উল্লেখিত অভিযোগে কার্যকরি পরিষদের সাথে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের যে দুরত্ম তৈরি হয়েছে, এতে করে এই সংগঠনটির ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার নিরসন জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতিকে কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আ. হকের পদত্যাগ

আপডেট: ০২:১৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক সমিতির কার্যকরি পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহৃতি চেয়ে পদত্যাগ করেছেন আ. হক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি গত ৪ সেপ্টেম্বর সভাপতির কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে বিশ^স্ত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রধান শিক্ষকদের সাথে সমন্বয়হীতার অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দুইটি প্যানেল অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন, বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. হক এবং সহকারী শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন, হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাস।

ওই নির্বাচনে কার্যকরি পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক সমর্থিত প্যানেল থেকে। এরপর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নব-গঠিত কার্যকরি পরিষদ দায়িত্বভার গ্রহণ করে। অভিযোগ রয়েছে, কমিটির অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে সহকারী শিক্ষক প্যানেলের সদস্যরাই আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। এতে নির্বাচিত সাধারন সম্পাদকসহ প্রধান শিক্ষক প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, যে সব বিদ্যালয় থেকে কোন শিক কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন নি বা নির্বাচনে কেউ অংশ গ্রহণ করেন নি, ওইসব বিদ্যালয় থেকে একজন করে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা হয়। যার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট নাম প্রস্তাবের জন্য সমিতি থেকে চিঠি প্রেরণ করা হতো।

পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে একজন কো-অপ্ট সদস্যের নাম প্রস্তাব করে সমিতিতে পাঠাতেন এবং তাকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হতো। কিন্তু চলতি কার্যকরি পরিষদ এই নিয়ম না মেনে, পরিষদের সদস্যদের প্রস্তাব ও সমর্থনের ভিত্তিতে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা হয়। যা অনিয়ম ও অগঠনতান্তিক। এতে প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

অপর দিকে সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগ বাস্তবায়নে (পদত্যাগ কার্যকর) তড়িঘড়ি করে সভা আহবান এবং সমিতির ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের আলোচ্য সূচী রাখারও অভিযোগ রয়েছে। অথচ পদত্যাগ গ্রহণ করা বা না করা কিংবা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে, পরবর্তী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন না করাটাই বিধিসম্মত। কারণ, সম্পাদক ছাড়া কিভাবে ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, কার্যকরি পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য সহকারী শিক প্যানেল থেকে নির্বাচিত। যার ফলে বর্তমান পরিষদ, প্রধান শিক্ষকদের মূল্যায়ন করছেন না এবং কোন প্রধান শিক যেন সমিতির কার্যকরি পরিষদে না আসে, সেজন্যই প্রধান শিক্ষকদের না জানিয়ে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আ. হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে উল্লেখিত অভিযোগের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে তিনি বিস্তারিত বক্তব্য না দিয়ে পরে জানাবেন বলে জানান।

সভাপতি দীপক চন্দ্র দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনিও একজন প্রধান শিক্ষক। তাহলে তিনি বা তাঁর কার্যকরি পরিষদ কেন প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করবে? তিনি বলেন, এই সংগঠন সকল শিক্ষকের (প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক)। বর্তমান কার্যকরি পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি মতবিনিমিয় সভা করেছি। যদি প্রধান শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হতো, তাহলে ওই সভা হতো না।

সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমি বলেছি, আপনি (আ. হক) নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। কেন পদত্যাগ করছেন? তখন তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এ পদত্যাগ। তারপরও আমি ও পরিষদের সদস্যরা তাঁকে বার বার অনুরোধ করেছি, তিনি যেন পদত্যাগ না করেন।

কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগের বিষয়ে সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ রয়েছে। কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগে প্রধান শিক্ষকদের অবহিত (চিঠি প্রদান) করা হলে, বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় না করে তিনি নিজেই কো-অপ্ট সদস্যের জন্য চলে আসতেন। তাই এ বছর সমিতির মাধ্যমেই কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকও রয়েছেন।
ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, গত সভার আলোচ্য সূচী ছিল, ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু সাধারন সম্পাদকের পদত্যাগপত্র দেওয়ার কারণে ওই সময়ে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগামি সভার আলোচ্য সূচীতে আবারো ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়টি রাখা হয়েছে। এ সময় সামনা-সামনি (মুখোমুখি) হলে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আরো তথ্য দিতে পারবেন বলে তিনি জানান।

এদিকে সাধারন সম্পাদক আ. হকের পদত্যাগ এবং উল্লেখিত অভিযোগে কার্যকরি পরিষদের সাথে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের যে দুরত্ম তৈরি হয়েছে, এতে করে এই সংগঠনটির ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার নিরসন জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতিকে কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।