রোগী সেজে ভূয়া চক্ষু ডাক্তার আটক করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

  • আপডেট: ০২:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
  • ১০৭

আরমান কাউসার॥
রোগী সেজে ভুয়া চক্ষু ডাক্তার ধরলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের বিশ্বরোডস্থ নিউ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রায় আড়াই বছর ধরে এই ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।

ইমন চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। এই ভুয়া চিকিৎসক ফরিদপুরের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কর্মজীবন হলেও তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন ঢাকায়।

সরোজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হাজিগঞ্জ থানা পুলিশের এক সদস্য রোগী সেজে নিউ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে যান। ওই সময় ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী তার বাম চোখ অপারেশনের কথা বলেন। এদিকে প্রস্তুত থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন ও পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স হাসপাতলে হানা দিলেন। ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি চিকিৎসকের পাশাপাশি হাসপাতালে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অভিযানে অংশ নেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সুমন আহমেদ সহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে কলেজে ছাত্রদলের উপর ছাত্র শিবিরের হামলা

রোগী সেজে ভূয়া চক্ষু ডাক্তার আটক করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

আপডেট: ০২:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

আরমান কাউসার॥
রোগী সেজে ভুয়া চক্ষু ডাক্তার ধরলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের বিশ্বরোডস্থ নিউ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রায় আড়াই বছর ধরে এই ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।

ইমন চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। এই ভুয়া চিকিৎসক ফরিদপুরের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন বলেও দাবি করেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কর্মজীবন হলেও তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন ঢাকায়।

সরোজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হাজিগঞ্জ থানা পুলিশের এক সদস্য রোগী সেজে নিউ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে যান। ওই সময় ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী তার বাম চোখ অপারেশনের কথা বলেন। এদিকে প্রস্তুত থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন ও পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স হাসপাতলে হানা দিলেন। ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি চিকিৎসকের পাশাপাশি হাসপাতালে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, ভুয়া চিকিৎসক ইমন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অভিযানে অংশ নেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সুমন আহমেদ সহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যবৃন্দ।