মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী পিটিয়ে গুরুতর আহত করলো পাষণ্ড শিক্ষক

  • আপডেট: ০৯:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • ২৪

পাষণ্ড শিক্ষকের নির্যাতনে হাসপাতাল বেডে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করেছে শিশু শিক্ষার্থী সালমান।

বিশেষ প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক পাষণ্ড শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উপজেলার বাকিলা ফুলছোঁয়া মাদ্রাসা। শিক্ষকের নির্যাতন সইতে না পেরে ওই ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ীতে চলে আসলে তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার।

সালমান হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্তর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও মসজিদ বাড়ীর সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু শিক্ষার্থী সালমান জানান, এর পূর্বেও সোহাইল হুজুর আমাকে আরো ২বার নির্যাতন করেছে। বিষয়টি আমার পরিবার ও শিক্ষকদের জানানোর কারণে মঙ্গলবার সকালে সোহাইল হুজুর আমার গলা টিপে ধরে ও অণ্ডকোষ চেপে ধরে ছুড়ে ফেলে। আমি ভয়ে চিৎকার দিলে তিনি আমার মুখ চেপে ধরে। পরে আমি মাদরাসা থেকে বের হয়ে দৌঁড়ে চলে আসি। আমার পেছনে পেছনে কয়েক ছাত্র আমাকে ধরার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সালমানের বাবা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ১৫ দিনে তিন বার মারধর করেছে। এটার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সালমানের অন্ডকোষে বড় ধরনের আঘাতের ছাপ রয়েছে।

বিষয়টি মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ক্বারী সোহাইল বলেন, মঙ্গলবার ছাত্র সালমানের সাথে আমার দেখাই হয়নি।

মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের বাবা মারধরের বিষয়ে অভিযোগ দিলে শাখা শিক্ষার্থীকে অন্য শাখায় বদলি করা হয়।

জানতে চাইলে ফুলছোঁয়া মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত মূফতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, ঘটনা জেনেছি। কতটুকু সত্যতা তা যাচাই করতে হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী পিটিয়ে গুরুতর আহত করলো পাষণ্ড শিক্ষক

আপডেট: ০৯:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক পাষণ্ড শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উপজেলার বাকিলা ফুলছোঁয়া মাদ্রাসা। শিক্ষকের নির্যাতন সইতে না পেরে ওই ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ীতে চলে আসলে তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার।

সালমান হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্তর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও মসজিদ বাড়ীর সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু শিক্ষার্থী সালমান জানান, এর পূর্বেও সোহাইল হুজুর আমাকে আরো ২বার নির্যাতন করেছে। বিষয়টি আমার পরিবার ও শিক্ষকদের জানানোর কারণে মঙ্গলবার সকালে সোহাইল হুজুর আমার গলা টিপে ধরে ও অণ্ডকোষ চেপে ধরে ছুড়ে ফেলে। আমি ভয়ে চিৎকার দিলে তিনি আমার মুখ চেপে ধরে। পরে আমি মাদরাসা থেকে বের হয়ে দৌঁড়ে চলে আসি। আমার পেছনে পেছনে কয়েক ছাত্র আমাকে ধরার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সালমানের বাবা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ১৫ দিনে তিন বার মারধর করেছে। এটার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সালমানের অন্ডকোষে বড় ধরনের আঘাতের ছাপ রয়েছে।

বিষয়টি মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ক্বারী সোহাইল বলেন, মঙ্গলবার ছাত্র সালমানের সাথে আমার দেখাই হয়নি।

মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের বাবা মারধরের বিষয়ে অভিযোগ দিলে শাখা শিক্ষার্থীকে অন্য শাখায় বদলি করা হয়।

জানতে চাইলে ফুলছোঁয়া মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত মূফতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, ঘটনা জেনেছি। কতটুকু সত্যতা তা যাচাই করতে হবে।