হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৫ শিক্ষার্থী চলতি শিক্ষাবর্ষে বুয়েট ও মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে তিন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট), এক শিক্ষার্থী সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও অপর এক শিক্ষার্থী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।
জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়ুয়া ইফতেখার আহম্মদ মাহী, তাসনিম মারিয়াম, নুসরাত জাহান, জিয়াউল করিম ও ফাহিম আল হাসান হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরপর তারা এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করে দেশের খ্যাতিমান পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এর মধ্যে ইফতেখার আহম্মদ মাহী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ে (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছে। সে ওই বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ৭ম স্থান অর্জন করে। এছাড়াও সে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৭১তম হয়। তাসনিম মারিয়াম সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ভর্তি হয়েছে। সে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ৮৪তম হয়। অপর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে
উল্লেখিত তিনজন শিক্ষার্থী শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে দেখা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের কাছে দোয়া কামনা করেন তারা। এদিকে জিয়াউল করিম ও ফাহিম আল হাসান নামক অপর দুই শিক্ষার্থী বুয়েটের ভর্তির তালিকায় ওয়েটিং লিষ্টে তাদের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে ইফতেখার আহম্মদ মাহী, তাসনিম মারিয়াম, নুসরাত জাহান বিদ্যালয়ে দেখা করতে গেলে অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদ তাদের মিষ্টিমুখ করান। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসাইনুল আজম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন মো. নাজমুস শাহাদাত, শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, জহিরুল ইসলাম মজুমদার, শাহজাহান মুন্সী, মমতাজ বেগম, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদ জানান, প্রতিবছর দেশের খ্যাতিমান ও ঐতিহ্যবাহী পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে এবং ভর্তি হয়। তাদের জন্য আমাদের সবসময় শুভ কামনা থাকে।
তিনি শিক্ষার্থীদের এই কৃতিত্বের জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা জানানোর ইচ্ছে আমাদের রয়েছে। সময়-সুযোগ করে আমরা তাদের সংবর্ধণার ব্যবস্থা করবো। এতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দিপনা বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা মনে করি।