হাজীগঞ্জে কুয়েত সুপার মার্কেটের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বায়নাকৃত ফø্যাট ও দোকানঘর বার বার সময় নিয়েও রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে শনিবার (২ জুলাই) বিকালে মো. আবু তাহের (আবু কোম্পানী) স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে তালবাহানার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগি মো. আবু তাহের বলেন, কুয়েত সুপার মার্কেটের স্বত্ত্বাধীকারী মো. শাহআলম পাটওয়ারী ও মো. দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর কাছ থেকে আমিসহ শাহিন আক্তার, কুলসুমা আক্তার, ইউসুফ, শাহআলম ও ইউসুফ ফ্ল্যাট ও দোকান ক্রয় করার উদ্দেশ্যে বায়না করি। এর মধ্যে কেউ ফ্ল্যাট ও কেউ দোকান ক্রয়ের বায়না করে।
তিনি জানান, বায়না করার নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তারা (মালিক পক্ষ) সময়মতো রেজিষ্ট্রি করে দেননি। তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরও বেশ কয়েকবার আমাদের কাছ থেকে মৌখিক সময় নেন এবং আমরাও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সময় দিয়েছি। তবে মালিকপক্ষ আমাদের সবাইকে ফ্ল্যাট ও দোকানের দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সর্বশেষ গত ২৮ জুন স্থানীয় গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩ জুলাই (রবিবার) আমাদের ফ্ল্যাট ও দোকান ঘর রেজিষ্ট্রি করে দিবেন মালিক পক্ষ। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগের দিন (২ জুলাই) শনিবার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু এবারো তারা আমাদের রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ার লক্ষ্যে তালবাহানা শুরু করে।
তিনি জানান, মালিক পক্ষের এমন তালবাহানার কারণে আমরা শংঙ্কায় আছি। ইতিমধ্যে ফ্ল্যাট ও দোকানের বায়না বাবদ আমরা তাদের ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। তাদের বার বার সময় ক্ষেপনের কারণে আমরা দ্বারস্থ হয়েছি। তারা যেন, আমাদের নিজ নিজ বায়নাকৃত ফ্ল্যাট ও দোকান রেজিষ্ট্রি করে দেন। নতুবা আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
এ দিকে তালবাহানার অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কেট মালিক শাহআলমের ছেলে রাসেল পাটওয়ারী ও দেলোয়ার পাটওয়ারী ছেলে সুজন পাটওয়ারী বলেন, আমরা বায়নাকৃত ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট ও দোকানের দখল বুঝিয়ে দিয়েছি। তারাও ফ্ল্যাট ও দোকানঘর বুঝিয়ে নিয়ে ভোগ-দখলে রয়েছেন। অথচ তাদের কাছ থেকে আমরা এখনো প্রায় ৭০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছি। বাকী টাকা বুঝে পেয়ে তাদেরকে ফ্ল্যাট ও দোকান রেজিষ্ট্রি করে দিব।
এ সময় তারা আরো বলেন, আমাদের সাথে ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন রয়েছে। ওই লেনদেন (টাকা) পরিশোধ করে তাদেরকে (বায়নাকৃত) নিজ নিজ ফ্ল্যাট ও দোকান রেজিষ্ট্রি করে দিব। আশা রাখছি, চলতি সপ্তাহে বা ঈদের আগেই ক্লিয়ারেন্স পাব। ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স পেলেই রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন করবো।
এ সময় তারা জানান, ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়া বায়নাকৃতদের কাছ থেকে একাধিকবার সময় চেয়েছি। এই সময় নেওয়ার জন্য তাদের স্টাম (নোটারী পাবলিক) ও চেক দিয়েছি। পরে রেজিষ্ট্রি করে স্টাম ও চেক ফেরত নিবো।