মো জহির হোসেন
১৪ বছর আদালতে লড়াই করে ফিরে পেলেন ১৭৭ শতাংশ সম্পত্তি
১৭৭ শতাংশ জায়গা নিজের অথচ পরিবার নিয়ে থাকতেন বস্তিতে! এই জায়গার জন্য হারিয়েছেন নিজের ছোট ভাইকেও। অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন এ এইচ এম মহিউদ্দিন গংরা।
শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুকের নুরু মিয়া। শাহরাস্তির অধিনে ২৩৪নং রাড়া মৌজার সি.এস-২০ নং খতিয়ান সাবেক ১৫চিঠা ১দাগে. ৩৯ একর, সাবেক ৩৫ চিঠা ২দাগে.২৭ একর, সাবেক ৫৬চিঠা ৩দাগে. ২৬ একর, ১০৪ চিঠা ৪দাগে. ০৩ একর, ১২২ চিঠা ৫দাগে. ০৪ একর, ১২৭ চিঠা ৬দাগে. ০৫ একর, ১৭০ চিঠা ৭দাগে. ৩০ একর, ১৭৫ চিঠা ৮দাগে. ১৭ একর ২৮৬ চিঠা ৯দাগে. ১৬ একর, ১০৯, ৭০২ চিঠা ১০দাগে. ১০ একর সহ মোট ১.৭৭ একর সম্পত্তি তার।
অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে দারস্থ হয় আদালতের। দীর্ঘ ১৪ বছর বাদী-বিবাদির লড়াইয়ের পর সোমবার সকালে জেলা জজ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেড গপ্পার খান নাদিম, মামলা নিয়ে লড়াই করা এ্যাডভুকেট আবুল কাশেম, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর উপস্থিততে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয় নুরু মিয়াকে।
১৪ বছর আদালতে লড়াইয়ের পর নিজের সম্পত্তি বুঝে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন নুরু মিয়া। ধন্যবাদ জানান জেলা জজ আদালতকে।
এ্যাডভুকেট আবুল কাশেম জানান, সরকার গরিব অসহাদের জন্য যেই আদালত গঠন করেছেন তাতে কোনো টাকা পয়সা ছাড়াই সেবা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কোনো টাকা-পয়সা ছাড়াই এই মামলায় লড়েছি এবং সফল হয়েছি।
জেলা জজ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেড গপ্পার খান নাদিম জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কাগজপত্র দেখে ন্যায্য মালিককে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছি।
দীর্ঘ বছর লড়াইয়ের পর নিজের সম্পত্তি বুঝে পেয়ে ডাক-ডোল বাঝিয়ে সম্পত্তি বুঝে নেন নুরু মিয়া।