মতলব উত্তরে বসতঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত

  • আপডেট: ০৮:৫০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • ৩৭

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সানাতের কান্দি গ্রামের মরহুম খলিল কাজীর ছেলে প্রবাসী হাসান কাজীর দোচালা টিনের ঘর সহ ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়।

২২ মে রবিবার সকাল আনুমানিক ১১ টায় বিদ্যুৎ সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা বেগম ও তার মা আকলিমা বেগমের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, এর পর ও ঘর সহ ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান বলেন, মতলব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসলেও বাড়ির ভিতর আসা যাওয়ার রাস্তা না থাকার কারনে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হয় নাই।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক মো. হাসানের মা বলেন, আমরা সদস্য সংখ্যা ৫ জন। আমার ছেলে দুই মাস পূর্বে অনেক দায় দেনা করে বিদেশে গেছে, আমার ১ টা নাতি আর ১ টা নাতনি ছোট ছোট। সংসারে আয় করার আর কোন লোক নাই, আমার ছেলের দায়- দেনা শেষ করব, না ঘর তৈরী করব, এখন আর কোন পথ খুঁজে পাই না, আপনারা দশ বাপ- ভাইয়েরা যদি আমাগো দিকে না তাকান আমারা কোথায় যাব। সরকারের কাছে আমাগো দাবি, দয়া করে আমাগো ঘরটি কইরা দেন, আর আমাগো কিছু সাহায্য সহযোগিতা কইরেন।

এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী, ইউপি সচিব দেওয়ান আব্দুল ওহাব, ইউপি সদস্য কাজী মোস্তাক, দুলাল মুন্সি ও মহর আলী এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজন ও ঘটনা স্থলে আসেন।

তবে আগুন নিভাতে এসে স্থানীয় ৪ জন লোক আহত হয়। আহতরা হলেন মোঃ রাকিবুল হাসান, শাহজাহান, আশ্রাফুল ও সিফাত মোল্লা। আহত রাকিবুল হাসানকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মতলব উত্তরে বসতঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত

আপডেট: ০৮:৫০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সানাতের কান্দি গ্রামের মরহুম খলিল কাজীর ছেলে প্রবাসী হাসান কাজীর দোচালা টিনের ঘর সহ ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়।

২২ মে রবিবার সকাল আনুমানিক ১১ টায় বিদ্যুৎ সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা বেগম ও তার মা আকলিমা বেগমের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, এর পর ও ঘর সহ ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান বলেন, মতলব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসলেও বাড়ির ভিতর আসা যাওয়ার রাস্তা না থাকার কারনে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হয় নাই।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক মো. হাসানের মা বলেন, আমরা সদস্য সংখ্যা ৫ জন। আমার ছেলে দুই মাস পূর্বে অনেক দায় দেনা করে বিদেশে গেছে, আমার ১ টা নাতি আর ১ টা নাতনি ছোট ছোট। সংসারে আয় করার আর কোন লোক নাই, আমার ছেলের দায়- দেনা শেষ করব, না ঘর তৈরী করব, এখন আর কোন পথ খুঁজে পাই না, আপনারা দশ বাপ- ভাইয়েরা যদি আমাগো দিকে না তাকান আমারা কোথায় যাব। সরকারের কাছে আমাগো দাবি, দয়া করে আমাগো ঘরটি কইরা দেন, আর আমাগো কিছু সাহায্য সহযোগিতা কইরেন।

এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী, ইউপি সচিব দেওয়ান আব্দুল ওহাব, ইউপি সদস্য কাজী মোস্তাক, দুলাল মুন্সি ও মহর আলী এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজন ও ঘটনা স্থলে আসেন।

তবে আগুন নিভাতে এসে স্থানীয় ৪ জন লোক আহত হয়। আহতরা হলেন মোঃ রাকিবুল হাসান, শাহজাহান, আশ্রাফুল ও সিফাত মোল্লা। আহত রাকিবুল হাসানকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।