নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
পদ্মা-মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে নৌ ডাকাত উজ্জল মিজি (৪০) খুন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিনগত রাত পৌনে ১ টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তার প্রতিদ্বন্ধী বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে গুরুতর আহত হয় উজ্জল মিজি।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মতলব উত্তর থানা ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল হক মিজি।
ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, মুলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই খুন হয়েছে উজ্জল মিজি। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ১ টার দিকে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে উজ্জল মিজিকে কুপিয়ে যখম করে। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে উজ্জল মিজি ইন্তেকাল করেছেন। বর্তমানে তার মৃতদেহ ওখানেই আছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, উজ্জল মিজি ২০০০ ব্যাচ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিলেন ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে। রাতে ওই অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে আসে। ওখানে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে প্রথমে ৮-১০ রাউন্ড গুলি ফাঁকা ছুঁড়ে। তার সাথের লোকজন সব ছুটাছুটি করে দুরে সরে গেলে তাকে রামদা দা ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফেলে চলে যায় বাবলা ডাকাত। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় খবর দেয়।
উজ্জল ডাকাতের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১২ টি ডাকাতি ও চুরি মামলা রয়েছে। বাবলা ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ১৫ টি ডাকাতি মামলা চলমান আছে। তারা দুজনই আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার। মূলত নদীতে ডাকাতি নিয়ে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
তবে মামলা হলে পরবর্তীতে গভীর তদন্তে আরো বিস্তারিত জানা যাবে বলেও মন্তব্য করে ওসি শাহজাহান কামাল।