রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে অনিহা প্রকাশ করেছে জাপান। শুরু থেকেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করে আসলেও জাপান তেল নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে।
মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল টোকিও। এমনকি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা করার দাবিও জানিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়ার তেলের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের ব্যাপারে জাপানের ভিন্ন সুর শোনা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী কোইচি হাগিউদা বলেন, ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করার পদক্ষেপ অনুসরণ করতে ‘সমস্যা’র সম্মুখীন হবে জাপান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়ার পর ওয়াশিংটন সফরকালে কোইচি হাগিউদা এ কথা বলেন।
হাগিউদা সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকায় অবিলম্বে এই পদক্ষেপ নিতে আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হবো।
এর আগে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন জানান, ইইউ রাশিয়ান তেলের উপর নির্ভরতা শেষ করছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এই বিষয়টি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। কারণ কিছু দেশ রাশিয়ার তেল আমদানির উপর নির্ভরশীল।
ইতোমধ্যেই হাঙ্গেরি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।
অবশ্য রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যদের মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই। রাশিয়ার গ্যাসের ব্যাপারে এখনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি ইইউ।