কিছু ন্যাটো দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক: তুরস্ক

  • আপডেট: ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২
  • ২৭

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু

কিছু ন্যাটো দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। যুদ্ধ করে রাশিয়া আরও দুর্বল হবে এটি প্রত্যাশা করেই তারা যুদ্ধের সমাপ্তি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু।

বুধবার বেসরকরি টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন টার্কে এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

তিনি বলেন, তুরস্ক মনে করে— ইস্তানবুলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পর যুদ্ধ আর স্থায়ী হওয়ার কথা না। কিন্তু ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করার পর মনে হয়েছে, কিছু ন্যাটো দেশ চায় যুদ্ধ বন্ধ না হোক। কারণ তারা রাশিয়াকে আরও দুর্বল দেখতে চায়।

গত ২৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তুরস্কের ইস্তানবুলে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসেন। ওই আলোচনার পর রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এবং খারকিভ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

আলোচনায় ইউক্রেন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে সম্মত হয় যেটা রাশিয়ার অন্যতম প্রধান দাবি। কিন্তু পরে শান্তি আলোচনা আর এগোয়নি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর থেকে তুরস্ক যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম দেশ তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

কিছু ন্যাটো দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক: তুরস্ক

আপডেট: ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২

কিছু ন্যাটো দেশ চায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। যুদ্ধ করে রাশিয়া আরও দুর্বল হবে এটি প্রত্যাশা করেই তারা যুদ্ধের সমাপ্তি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু।

বুধবার বেসরকরি টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন টার্কে এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

তিনি বলেন, তুরস্ক মনে করে— ইস্তানবুলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পর যুদ্ধ আর স্থায়ী হওয়ার কথা না। কিন্তু ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করার পর মনে হয়েছে, কিছু ন্যাটো দেশ চায় যুদ্ধ বন্ধ না হোক। কারণ তারা রাশিয়াকে আরও দুর্বল দেখতে চায়।

গত ২৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তুরস্কের ইস্তানবুলে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসেন। ওই আলোচনার পর রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এবং খারকিভ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

আলোচনায় ইউক্রেন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে সম্মত হয় যেটা রাশিয়ার অন্যতম প্রধান দাবি। কিন্তু পরে শান্তি আলোচনা আর এগোয়নি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর থেকে তুরস্ক যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম দেশ তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে।