হাজীগঞ্জে এক নওমুসলিমকে পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলো আদালত

  • আপডেট: ১০:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩৭

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

হাজীগঞ্জে মো. বিল্লাল হোসেন নামের এক নওমুসলিমকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত।

দেওয়ানী মোকাদ্দমা (নং-৯৮/২০১১) সূত্র ধরে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, হাজীগঞ্জের নির্দেশনায় তাঁর পৈত্রিক ২.২৫ শতাংশ ভূমি উদ্ধারপূর্বক তাঁকে বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।

এসময় উদ্ধারকৃত সম্পত্তির চারপাশে সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টানানো এবং একটি নির্দেশনা সাঁটিয়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় সহকারী জজ আদালত চাঁদপুর এর ৯৮/২০১১ মামলা রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ) ও এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে নওমুসলিম মো. বিল্লাল হোসেনের ২ শতক জায়গা লাল পতাকা ও খুঁটি দ্বারা চিহ্ন করা হয়।

কেউ যদি লাল পতাকা ও খুঁটি ভেঙে ফেলে বা উপরে ফেলেন তা আদালত অবমাননার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মো. বিল্লাল হোসেন পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মালি বাড়ির মৃত মনমোহন দাসের ছেলে। তিনি দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে আদালত কর্তৃক হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২৪০নং কংগাইশ মৌজার ৯৮৩ দাগে ১ আনা সাবেক নাল হালে ভিটি ৫৪ শতকের মধ্যে ২.২৫ শতাংশ জায়গা (ভূমি) মালিকানা ও ভোগদখল শুরু করেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতায়ালী থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোসাম্মৎ গুলনাহার বেগম, ছেলে নাজমুল হাসান, মেয়ে মোসাম্মৎ ফেরদৌস আক্তার ও রেনটি আক্তার, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মৃত কানাই চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস ও বলাই চন্দ্র দাস, একই গ্রামের ক্ষিরোদ মোহন দাসের ছেলে নিখিল চন্দ্র দাস, মৃত ননী গোপাল দাসের ছেলে নির্মল চন্দ্র দাস।

টোরাগড় গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে মো. ইউসুফ ও মো. রফিক, একই গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো. শাহজাহান, আ. রবের স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম, মৃত শের আলীর ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া, মো. আমিন মিয়া ও আব্দুল লতিফ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হাজীগঞ্জ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর নওমুসলিম মো. বিল্লাল হোসেন এই দেওয়ানী মামলাটি করেন।

সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

হাজীগঞ্জে এক নওমুসলিমকে পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলো আদালত

আপডেট: ১০:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

হাজীগঞ্জে মো. বিল্লাল হোসেন নামের এক নওমুসলিমকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত।

দেওয়ানী মোকাদ্দমা (নং-৯৮/২০১১) সূত্র ধরে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, হাজীগঞ্জের নির্দেশনায় তাঁর পৈত্রিক ২.২৫ শতাংশ ভূমি উদ্ধারপূর্বক তাঁকে বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।

এসময় উদ্ধারকৃত সম্পত্তির চারপাশে সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টানানো এবং একটি নির্দেশনা সাঁটিয়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় সহকারী জজ আদালত চাঁদপুর এর ৯৮/২০১১ মামলা রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ) ও এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে নওমুসলিম মো. বিল্লাল হোসেনের ২ শতক জায়গা লাল পতাকা ও খুঁটি দ্বারা চিহ্ন করা হয়।

কেউ যদি লাল পতাকা ও খুঁটি ভেঙে ফেলে বা উপরে ফেলেন তা আদালত অবমাননার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মো. বিল্লাল হোসেন পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মালি বাড়ির মৃত মনমোহন দাসের ছেলে। তিনি দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে আদালত কর্তৃক হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২৪০নং কংগাইশ মৌজার ৯৮৩ দাগে ১ আনা সাবেক নাল হালে ভিটি ৫৪ শতকের মধ্যে ২.২৫ শতাংশ জায়গা (ভূমি) মালিকানা ও ভোগদখল শুরু করেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতায়ালী থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোসাম্মৎ গুলনাহার বেগম, ছেলে নাজমুল হাসান, মেয়ে মোসাম্মৎ ফেরদৌস আক্তার ও রেনটি আক্তার, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মৃত কানাই চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস ও বলাই চন্দ্র দাস, একই গ্রামের ক্ষিরোদ মোহন দাসের ছেলে নিখিল চন্দ্র দাস, মৃত ননী গোপাল দাসের ছেলে নির্মল চন্দ্র দাস।

টোরাগড় গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে মো. ইউসুফ ও মো. রফিক, একই গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো. শাহজাহান, আ. রবের স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম, মৃত শের আলীর ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া, মো. আমিন মিয়া ও আব্দুল লতিফ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হাজীগঞ্জ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর নওমুসলিম মো. বিল্লাল হোসেন এই দেওয়ানী মামলাটি করেন।