• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০২২

কলম্বিয়ায় রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘর্ষে নিহত ২৩

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে চাঁদপুরের ৪১টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

কলম্বিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির আরাউকা প্রদেশে দুটি অবৈধ সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিয়াগো মোলানো এ তথ্য জানান।

রয়টার্স জানিয়েছে, ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যরা গত রবিবার থেকে আরাউকা প্রদেশে একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষেই এখন পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

আরাউকা প্রদেশটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভেনেজুয়েলার সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এবং ইএলএন সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ফার্কের ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যরা ২০১৬ সালে দেশটিতে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির বিরোধী।

এদিকে এক বিবৃতিতে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মাদক চোরাচালানসহ অবৈধ আর্থিক ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই করছে বিবদমান ওই দুটি গ্রুপ। এ ছাড়া কলম্বিয়ার মানবাধিকার প্রধান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের কারণে ১২টি পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) সঙ্গে দেশটির সরকারের একটি শান্তিচুক্তি হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ী ফার্ককে ভেঙে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ দশক ধরে চলা একটি রক্তাক্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়।

কিন্তু ইএলএন, ফার্কের ভিন্নমতাবলম্বীরা, ডানপন্থি সাবেক বেসামরিক বাহিনীগুলো ও অপরাধী গোষ্ঠীগুলো দেশটিতে এখনও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দীর্ঘ ৫২ বছরের এই সশস্ত্র সংঘাতে আনুমানিক ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!