করোনায় ব্যবসা ধরে রাখতে এবং এগিয়ে যেতে নানা প্রণোদনা দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট: ০১:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৪৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকারে এসে প্রতিটি পণ্য বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। এমনকি মোবাইল ফোন বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া ও ব্যবহারের উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের দেশটা যেন শিল্প-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে পারে, উৎপাদন বাড়াতে পারে, সে উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে নিজস্ব বাজার তৈরিতে আমরা মনোনিবেশ করি। কারণ শিল্পায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটবে নিজস্ব বাজার তৈরি হলে।

আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, একটা স্থায়ী মেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রথম অনুষ্ঠান করছেন, কিছু কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমি তো কাঠামো করে দিয়েছি, বাকিগুলো আপনারা (ব্যবসায়ী) সমাধান করে নেন। এই মেলার ফলে পণ্যের চাহিদা জানা ও সে আলোকে পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণের আইডিয়া পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে আমাদের সমীক্ষা শেষ করেছি। নানা ধরনের চুক্তি তাদের সঙ্গে আমরা করব। আমরা চাই, বাণিজ্যিক কূটনীতি প্রসার হোক, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনায় ব্যবসা ধরে রাখতে এবং এগিয়ে যেতে নানা প্রণোদনা দিয়েছি। করোনায় ব্যাংকের সুদ ৫০ ভাগ আপনাদের দিতে হবে, বাকিটা আমরা ভর্তুকি দিয়ে দিচ্ছি। এই করোনায় অনেক দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে। সেটাও অতিক্রম করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি পণ্য সেবাকে বর্ষপণ্য-২০২২ ঘোষণা করে বলেন, রপ্তানি নীতি অনুযায়ী প্রতিবছর একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করি। এবার আইসিটি পণ্য বা সেবাকে বর্ষপণ্য ২০২২ ঘোষণা করছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

করোনায় ব্যবসা ধরে রাখতে এবং এগিয়ে যেতে নানা প্রণোদনা দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট: ০১:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকারে এসে প্রতিটি পণ্য বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। এমনকি মোবাইল ফোন বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া ও ব্যবহারের উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের দেশটা যেন শিল্প-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে পারে, উৎপাদন বাড়াতে পারে, সে উদ্যোগ নিয়েছি। বিশেষ করে নিজস্ব বাজার তৈরিতে আমরা মনোনিবেশ করি। কারণ শিল্পায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটবে নিজস্ব বাজার তৈরি হলে।

আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২-এর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, একটা স্থায়ী মেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রথম অনুষ্ঠান করছেন, কিছু কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমি তো কাঠামো করে দিয়েছি, বাকিগুলো আপনারা (ব্যবসায়ী) সমাধান করে নেন। এই মেলার ফলে পণ্যের চাহিদা জানা ও সে আলোকে পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণের আইডিয়া পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে আমাদের সমীক্ষা শেষ করেছি। নানা ধরনের চুক্তি তাদের সঙ্গে আমরা করব। আমরা চাই, বাণিজ্যিক কূটনীতি প্রসার হোক, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনায় ব্যবসা ধরে রাখতে এবং এগিয়ে যেতে নানা প্রণোদনা দিয়েছি। করোনায় ব্যাংকের সুদ ৫০ ভাগ আপনাদের দিতে হবে, বাকিটা আমরা ভর্তুকি দিয়ে দিচ্ছি। এই করোনায় অনেক দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে। সেটাও অতিক্রম করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি পণ্য সেবাকে বর্ষপণ্য-২০২২ ঘোষণা করে বলেন, রপ্তানি নীতি অনুযায়ী প্রতিবছর একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করি। এবার আইসিটি পণ্য বা সেবাকে বর্ষপণ্য ২০২২ ঘোষণা করছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।