মো. জহির হোসেন॥
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনির চৌধুরী বলেছেন, পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ার মূলকারণ হলো স্মার্টফোনের অপব্যবহার। এ জন্য দায়ী পরিবার ও শিক্ষকবৃন্দ। কারণ তারা যদি স্মার্টফোনের ব্যবহার কমিয়ে দেয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।
তিনি শনিবার দুপরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ দিনব্যাপী ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন-২০২১ শেষে ‘স্মার্টফোনে আসক্তি-পড়াশোনার ক্ষতি’ বিষয়ক অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিকাশিত করতে হবে নতুন নতুন আবিস্কারের মাধ্যমে। এসব বিষয়ে শিক্ষক ও পরিবার তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার পর শিার্থীদের পরীার ফল ভালো হয়েছে গবেষণায় দেখা গেছে। গবেষকরা বলছেন, এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জন্যে বাড়তি সময় পেয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের উন্নতি হয়েছে সবচে’ বেশি। কারণ তাদের হাতে স্মার্টফোন নেই।
তিনি বলেন, নতুন নতুন স্মার্ট ফোনের অনেক সুবিধা থাকলেও এসব ফোন শিার্থীদের মনোযোগ নষ্ট করে। এতে পড়ালেখারও তি হয়। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে শিক শিকিাদের বৈধ অধিকার ছিলো শিার্থীদের কাছ থেকে জিনিসপত্র জব্দ করা। তবে মোবাইল ফোনের ব্যাপারে সরকারি নীতিতে কিছু বলা ছিলো না।
প্রধান অতিথি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপ লেখাপড়ায় শিার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে পারে।
তিনি হাজীগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য একটি গবেষণাগার বাস প্রদান করার আশ^াস প্রদান করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার ও বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাছান মানিক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যপক কৃষ্ণ চন্দ্র, হাজীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার সুনির্মল দেউড়ি।