আমেরিকা নিজেই গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট: ০২:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৩১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ডিসেম্বরে হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলন সামিট ফর ডেমোক্র্যাসির অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিক তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের। নাম থাকার ব্যাখায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, আমেরিকা নিজেই গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে মন্ত্রী এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ভার্চ্যুয়াল ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ আমন্ত্রণ পেলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম নেই বাইডেনের আমন্ত্রণ পাওয়া রাষ্ট্রগুলোর তালিকায়। এ নিয়ে সমালোচকরা দেশ-বিদেশে প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে প্রশ্নটি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে সম্মেলনে ডেকেছে। তিনি বলেছেন, তাই সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। তবে এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নাই। এটা তাদের দায় দায়িত্ব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটা গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর। যুক্তরাষ্ট্রের থেকে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে সম্মেলন করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশকে। যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদের। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এটা তাদের দায়দায়িত্ব। আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর। অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

আমেরিকা নিজেই গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০২:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ডিসেম্বরে হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলন সামিট ফর ডেমোক্র্যাসির অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিক তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের। নাম থাকার ব্যাখায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, আমেরিকা নিজেই গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে মন্ত্রী এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ভার্চ্যুয়াল ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ আমন্ত্রণ পেলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম নেই বাইডেনের আমন্ত্রণ পাওয়া রাষ্ট্রগুলোর তালিকায়। এ নিয়ে সমালোচকরা দেশ-বিদেশে প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে প্রশ্নটি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে সম্মেলনে ডেকেছে। তিনি বলেছেন, তাই সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। তবে এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নাই। এটা তাদের দায় দায়িত্ব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটা গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর। যুক্তরাষ্ট্রের থেকে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে সম্মেলন করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশকে। যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদের। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এটা তাদের দায়দায়িত্ব। আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর। অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি।