ইতোমধ্যে ১২ দিন হয়ে গেছে দক্ষিণী সুপারস্টার পুনীত রাজকুমারের চলে যাওয়ার। তার সঙ্গে আরও হাজার হাজার জীবন জড়িয়ে ছিল। মৃত্যুর পরেও সেই মানুষগুলো ছেড়ে যাননি এই তারকাকে। প্রতি দিন ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন কেবল মাত্র পুনীতের জন্য। ব্যবসায়ী শিবকুমার তার বড় ছেলের নাম রেখেছেন পুনীতের নামে। দুই ছেলেকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিওতে পুনীতের সমাধিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন তিনি। ছোট ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করলেন শিবকুমার।
তার ভাষ্য, পুনীতের অভিনয়ের জন্য শুধু নয়, সমাজের প্রতি তার কর্তব্যবোধের জন্যও আমরা মুগ্ধ। পুনীতের আরও এক ভক্ত ধর্মেশ তার স্ত্রী এবং ছয় মাসের সন্তানকে নিয়ে কান্তিরাভা স্টুডিয়োয় পুনীতকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনুরাগীরা এবং পুনীতের ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা দলে দলে ভিড় করছেন সমাধিতে। ৮৭ বছরের নানজাম্মা কাঁদতে কাঁদতে পুনীতকে দেখতে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার বক্তব্য, পুনীত রাজকুমারের বাবার সমস্ত ছবি দেখেছি ছোটবেলায়। পুনীতের সব ছবি না দেখলেও তার সঙ্গে একাত্মবোধ করি আমি। এদিকে, ৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে পুনীতের সমাধিতে, ভিড় সামলানোর জন্য। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর আউটার রিং রোডের এই সমাধিস্থলে ভক্তদের সমাগমের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর ৪৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন পুনীত। প্রিয় তারকার মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে প্রাণ যায় আরও তিন জনের। তার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। এক জন আত্মহত্যা করেন। কন্নড় এবং তেলুগু সিনেমা জগতের সুপারস্টার- কেবল এই একটি পরিচয়ে পরিচিত নন পুনীত রাজকুমার। একইসঙ্গে তিনি দুঃস্থদের কল্যাণে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। ঠিক যেভাবে চলচ্চিত্র জগতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, একইভাবে এমন অনেকেও তার অনুপস্থিতিতে অসহায়। তারা পুনীতের মুখাপেক্ষী ছিলেন। ১৮০০ জন অনাথ মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন পুনীত।