মনিরুল ইসলাম মনিরঃ
জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর এবার চূড়ান্ত ভাবে বন্ধ হল যাত্রীবাহী লঞ্চ।
৭ নভেম্বর রোববার সকাল থেকে চাদঁপুর লঞ্চঘাটের সবরুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক সমিতি। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে রাতে কয়েকটি লঞ্চ সদর ঘাটে ভিড়েছে। তবে সকাল থেকে কোনো লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। ঘাট এলাকা থেকে লঞ্চগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে লঞ্চ না পেয়ে যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বিকল্প বাহনে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী বিলকিস বেগম জানান, আমি আমার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে ভোরে লঞ্চঘাটে এসেছি। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন লঞ্চ ছাড়েনি।
লঞ্চের জন্য সারাদিন অপেক্ষা করবো, দেখি কখন লঞ্চ ছাড়ে। ইব্রাহীম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাস-লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, মূলক ক্ষতি সাধারণ মানুষের হচ্ছে। তাদের দ্বিধা দ্বন্দ্বে আমরা সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ি। শেষ মেশ ভাড়া বৃদ্ধিই করা হবে। যত দুর্ভোগ সব সাধারণ মানুষের। লঞ্চতো পাচ্ছি না, এখন কয়েকজন এক হয়ে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাব। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, ভাড়া সমন্বয় করার দাবিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের পক্ষে লঞ্চ চালিয়ে পোশাবে না। চাঁদপুর থেকে রাত ১২.১৫ মিনিটে সর্বশেষ লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। এরপর আমরা সকাল থেকে সব লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক কতৃপক্ষ। ঘাট থেকে কোন লঞ্চ ছাড়ার সিন্ধান্ত এখনো আসেনি।
গত বৃহস্পতিবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।
তার একদিন পরই লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা আসে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।