রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের ব্যর্থতা স্বীকার

  • আপডেট: ০৯:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯
  • ৬৯

নতুনেরকথা অনলাইন :

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গত মাসে অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ওই সংকট মোকাবেলায় পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় তাদের ঐক্যবদ্ধ কোনো কৌশল ছিল না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের পর্যাপ্ত সমর্থনেরও অভাব ছিল। ইয়াংঘি লি বলেন, ‘বিশেষ দূতের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে এ মুহূর্তে আলোচনা চলছে মানবাধিকার পরিষদে।’ ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দেয়।

ইয়াংঘি লি বলেন, ‘তারা সবাই মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি। আর এর দায়ভার মিয়ানমারের। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাদের। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদেরও অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ থেকে বাকিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের ব্যর্থতা স্বীকার

আপডেট: ০৯:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

নতুনেরকথা অনলাইন :

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি গত মাসে অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ওই সংকট মোকাবেলায় পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় তাদের ঐক্যবদ্ধ কোনো কৌশল ছিল না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের পর্যাপ্ত সমর্থনেরও অভাব ছিল। ইয়াংঘি লি বলেন, ‘বিশেষ দূতের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে এ মুহূর্তে আলোচনা চলছে মানবাধিকার পরিষদে।’ ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দেয়।

ইয়াংঘি লি বলেন, ‘তারা সবাই মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি। আর এর দায়ভার মিয়ানমারের। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাদের। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদেরও অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ থেকে বাকিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’